بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি এই দোয়াটি পাঠ করবে, তার অভাব দূর হয়ে যাবে।
দোয়াটি হলো (আরবি) :
اللّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أو أُظْلَمَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলামা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে। এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী থেকে। এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি— কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারও দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৪৪)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন— ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতেগফার করবে (আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি) আল্লাহতায়ালা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৮ )
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি প্রিয় নবীকে (সা.) বলতে শুনেছি— ‘যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং তার আয়ু বাড়াতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫)
একবার হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মা তাঁকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং তাঁর জন্য দোয়া চাইলেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় খাদেম-এর জন্য দোয়াও করেছিলেন।
বর্তমান সময়ে যদি কেউ কারো কাছে দোয়া চায় তবে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর জন্য করা এ দোয়াটি যথাযথ ও উপযুক্ত। যা সবার জন্য খুবই জরুরি।
হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা, (একবার) আমার মা আমাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই ছোট খাদেম আনাস। আপনি তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বলে দোয়া করলেন-
اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকছির মালুহু ওয়া ওয়া ওয়ালাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। (বুখারি ও মুসলিম)
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দিন। আর আপনি তাকে যা (রিজিক/জীবিকা ও নেয়ামত) দিয়েছেন তাতে বরকত দান করুন।’
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!
কোন অসহায় বা দরিদ্র মানুষ সাহায্য চাইলে যথা চেষ্টা করা তাকে কিছু সহযোগিতা করার। যদি উপস্থিত তাকে কিছু দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে তার দরিদ্র বিমোচনের জন্য দোয়া করা ও তাকে সাত্বনা দেওয়া উচিত। পাশাপাশি তাকে উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করার নসিহা করা যেতে পারে। তবে এমন অসহায় মানুষের সাথে কখনো বাজে আচরণ করা যাবে না।
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত বিবরণ অনুপাতে আপনার জন্য তা নাজায়েয নয়। তবে উত্তম হলো উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করা।