بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
(ثُمَّ الْأَصْلُ) فِي التَّسْمِيَةِ أَنَّهَا إنْ صَحَّتْ وَتَقَرَّرَتْ يَجِبُ الْمُسَمَّى ثُمَّ يُنْظَرُ إنْ كَانَ الْمُسَمَّى عَشَرَةً فَصَاعِدًا؛ فَلَيْسَ لَهَا إلَّا ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ دُونَ الْعَشَرَةِ يُكْمِلُ عَشَرَةً عِنْدَ أَصْحَابِنَا الثَّلَاثَةِ وَإِذَا فَسَدَتْ التَّسْمِيَةُ أَوْ تَزَلْزَلَتْ يَجِبُ مَهْرُ الْمِثْلِ
মহরের মধ্যে মূল বিষয় হল,যদি তা সু-নির্দিষ্ট থাকে এবং কার্যকরী করা বিশুদ্ধ হয়(তথা হারাম কোনো জিনিষ না হয়)তাহলে সেটাই হুবহু কার্যকরী হবে।যদি দশ দিরহামের বেশী হয়,তাহলে হুবহু সেটাই কার্যকরী হবে।আর দশ দিরহামের কম হয়,দশ দিরহাম পর্যন্ত বাড়ানো হবে।হানাফি বড় তিন ইমামের মতে।আর যদি উল্লেখকৃত মহর শরীয়তের দৃষ্টিতে ফাসিদ বলে গণ্য হয়,অথবা অস্পষ্ট ও বাতিল বলে গণ্য হয়,তাহলে মহরে মিছিল ওয়াজিব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩০৩
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
" ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন-৩৭৪৭
★কাউকে হাদিয়া বা গিফট দেওয়ার পর গিফটদাতা স্বাভাবিকভাবে সেই গিফট ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার রাখেন না। যারা গিফট দেওয়ার পর তা আবার ফিরিয়ে নেয়, হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) তাদের ব্যাপারে কঠিন ভাষা ব্যবহার করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ
‘দান করার পর যে তা ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ ব্যাক্তির মতই, যে বমি করে তা আবার খায়।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৪৫]
আরেক হাদিসে বলা হয়েছে,
لَيْسَ لَنَا مَثَلُ السَّوْءِ، الَّذِي يَعُودُ فِي هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَرْجِعُ فِي قَيْئِهِ
‘নিকৃষ্ট উপমা দেওয়া আমাদের জন্য শোভনীয় নয় (তবু বলতে হয়), যে দান করে তা ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে তা আবার খায়।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৪৬]
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনি ভাই / বোন!
১. আপনি আপনার স্ত্রীর থেকে উক্ত গহণা ফেরত নিতে পারবেন না। তবে আপনার স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায়, তার থেকে চাওয়া ছাড়ায় আপনাকে সেই অলংকারগুলির মালিক বানিয়ে দেয়, তাহলে তা জায়েয আছে। আপনি চাইলে উক্ত গহনা তাকে পুনরায় মোহরানা হিসেবেও দিতে পারবেন। কিন্তু শর্ত হলো তার উপর প্রেশার দিয়ে বা জোরপূর্বক তার থেকে চেয়ে নেওয়া নাজায়েয।
২. বিয়ে সহিহ হবে। কিন্তু জোরপূর্বক তার থেকে সেই গহনা নিয়ে মোহরানা হিসেবে পুনরায় দিলে আপনি গুনাহগার হবেন। যদি একান্ত এই মহূর্তে আপনি তার মোহরানা পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে পরে দেওয়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য যে, পরিশোধ যোগ্য মোহরানাই সুন্নাত। সাধ্যের বাহিরে মোহরানা নির্ধারণ করা সুন্নাতের খেলাফ।