আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি বিয়ের পর শাশুড়ির ব্যবহার এর জন্য বাবার বাসায় থাকি।আমার এক জা শাশুড়ির সাথে থাকে অন্য আরেকজন ও বাবার বাসায় থাকেন একই কারনে।

১) এখন শাশুড়ি যদি সমস্যা তৈরি করেন তারপর বউদের নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে যা সত্য নয় বা বিভিন্ন ভাবে উনার সাথে থাকাকালীন বউদের কষ্ট দেন।এই কষ্টের কথা গুলো যদি এক জা আরেক জা এর কাছে বা আমি আমার মা বোনদের সাথে বলি যেমনঃ মা আমার সাথে এইরকম করেছেন বা এই কথা বলেছেন।তার কথায় অনেকে কষ্ট পেয়েছি।

একটা উদাহরণ দেইঃ আমার এক জা ফোন দিয়ে বলেছেন মা শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেন না।তোমাদের নামে এই সেই বলেছেন।এখন আমি আরেক জায়ের সাথে কথা বলেছি সে জিজ্ঞেস করলো বাড়ি যাবে না?আমি না করি আর কথায় কথায় বলে দেই কেনো যাবো না শাশুড়ি র বিষয়ে।

কেউ জিগ্যেস করলো আমার ননাশ আর স্বামীর ঝগড়া কেনো হলো?আমি বলেছি শাশুড়ির কথা শুনে দুজনেই ঝগড়া করেছে।

আর জা দের সতর্ক করার জন্য বলি যে মা এর কথা তাকে বলে তার কথা একে বলে ঝগড়া লাগান।

তাহলে কি এই কথা গুলো শাশুড়ির নামে গীবত হবে?

২) আমি যদি আমার মা বা বোনের সাথে কখনো মন খারাপ থেকে বা মনের কষ্ট থেকে হালকা হওয়ার জন্য বলে ফেলি শশুড়বাড়ি কিরকম ছিলাম কে কি করেছে তাদের খারাপ কাজ গুলোর কথা বললাম তাহলে কি সেটা গীবত হবে?

যদি গীবত হয় তাহলে আমি কিভাবে তার কাছে ক্ষমা চাইতে পারি।যদিও উনার কাছে ক্ষমা চাইলে উনি মনে করেন উনার সব কথাই সঠিক আমরা বউরা হয়তো কোনো দোষ করেছি তাই ক্ষমা চাচ্ছি।এক্ষেত্রে উনার জুলুম এর মাত্রা কমবে না আরও বাড়ে যাবে।

৩) আমি যদি কারো উপর সন্দেহ করি যে এই মানুষটা আমাদের ক্ষতি করতে চায় বা যাদু করে তার চাল চলন দেখে।কিন্তু আমার কাছে প্রমাণ নেই যে সে আসলেই করেছে কিনা।অন্যকে তার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেই। তাহলে কি তার উপর অপবাদ দেয়া বা গীবত হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।(সূরা হুজুরাত-১২)

https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
الخامس: أن يكون مجاهرا بفسقه أو بدعته. فيجوز ذكره بما يجاهر به، ويحرم ذكره بغيره من العيوب،
(পাঁচ)প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয।তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১+২)
আপনার শাশুড়ি যা যা অন্যায় প্রকাশ্যে করেবে, সেগুলো আপনি আলোচনা করতে পারবেন।তবে তার ব্যক্তিগত গোপনীয় কোনো জিনিষ আলোচনা করতে পারবেন না।

(২)
জ্বী, এটা অপবাদ হবে। সন্দেহ হলে আপনি নিজে সতর্ক থাকবেন।তবে তার বিষয়ে কাউকে কিছুই বলতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...