ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।(সূরা হুজুরাত-১২)
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
الخامس: أن يكون مجاهرا بفسقه أو بدعته. فيجوز ذكره بما يجاهر به، ويحرم ذكره بغيره من العيوب،
(পাঁচ)প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয।তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১+২)
আপনার শাশুড়ি যা যা অন্যায় প্রকাশ্যে করেবে, সেগুলো আপনি আলোচনা করতে পারবেন।তবে তার ব্যক্তিগত গোপনীয় কোনো জিনিষ আলোচনা করতে পারবেন না।
(২)
জ্বী, এটা অপবাদ হবে। সন্দেহ হলে আপনি নিজে সতর্ক থাকবেন।তবে তার বিষয়ে কাউকে কিছুই বলতে পারবেন না।