আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি পরিবারের বড় ছেলে। আমার ছোট ২ বোন রয়েছে। এদের মধ্যে একজন অনার্স পড়ছে, অন্যজন এখনো ছোটো, ১০ বছর বয়েস। সবচেয়ে ছোট এই বোনকে আমরা প্রায় ১-১.৫ বছর বা এর চেয়েও কম বয়স থেকে পালছি। তার মা-বাবা কোথায়, আমাদের জানা নেই। আমাদের ইচ্ছে হলো তাকে, পরিপূর্ণ ইসলামিক মানসিকতার সাথে বড় করার, এবং সে ১৮-১৯ বছর বয়সী হওয়ার পর তাকে সবটা খুলে বলবো ইন শা আল্লাহ। যাতে সে মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়, এবং কিছুটা সহজ ভাবে নিতে পারে। এরই মধ্যে যেন পর্দার বিধান লংঘিত না হয়, সেজন্য পরিবারে পর্দার বিধান পালনের সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেওয়া হবে ইন শা আল্লাহ।  আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যেহেতু সে অবুঝ বয়স থেকে আমাদের পরিবারের একজন এবং আমি তাকে আমার অন্যবোনের মতোই ছোটোবোন হিসেবে ভালোবাসি, সে সাবালিকা হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কি তার সাথে সাধারণ ভাই বোন সুলভ আচরণ করলে গুনাহের ভাগীদার হবো? এই যেমন, কোনো সময়ে হাত ধরে রাস্তা পার করানো, তার সাথে হাসি ঠাট্টা করা, কাগজে কাটাকুটি বা এরকম কোনো খেলা মাঝে মাঝে খেলা ইত্যাদি। আসলে মানসিকভাবে দূরত্ব মেনে নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। ধীরে ধীরে দূরে সরে আসার চেষ্টা করছি। সে সাবালিকা হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সাথে আমার আচরণ কিরূপ হওয়া উচিত? উদাহরণের আচরণগুলো করলে কি গুনাহের ভাগীদার হবো?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
উক্ত পালক বোন যদি আপনার দুধ বোন হয়ে থাকে, তথা এক/দেড় বছরে আপনার মা যদি তাকে দুধ পান করান, তাহলে সে আপনার দুধ বোন হবে।এমতাবস্থায় সে আপন বোনের মতই। সে আপনার আপন বোনের মত আপনার মাহরাম হবে।
তবে যদি সে আপনার দুধ বোন না হয়ে থাকে, তাহলে সাবালিকা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আপনি তার সাথে আপন বোনের মতই আচরণ করতে পারবেন।প্রশ্নে উল্লেখিত আচরণ করতে পারবেন।এতে কোনো সমস্যা হবে না। সে নয় বৎসর বয়স থেকে সাবালিকা হবে। সাবালক হওয়ার পর আপনাকে তার সাথে পূর্ণ পর্দা করতে হবে।

তখন নিম্নের হাদীস সমূহের প্রতি আপনাকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
https://www.ifatwa.info/7238 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বেগানা গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ না করতে কটুর হুশিয়ারী হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে .....
ﻋﻦ ﻣَﻌْﻘِﻞَ ﺑْﻦَ ﻳَﺴَﺎﺭٍ، ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ :" ﻷَﻥْ ﻳُﻄْﻌَﻦَ ﻓِﻲ ﺭَﺃْﺱِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺑِﻤِﺨْﻴَﻂٍ ﻣِﻦْ
ﺣَﺪِﻳﺪٍ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﻤَﺲَّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻻ ﺗَﺤِﻞُّ ﻟَﻪُ " .(ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ " ( /20 211 ـ 212 )
তরজমাঃ- তোমাদের মাথায় লোহার সুই দ্বারা যখম করাই উত্তম হবে কোনো গায়রে মাহরাম মহিলার হাতকে স্পর্শ করা থেকে।

অন্যত্র বর্ণিত আছে....................
ﻋﺎﺋﺸﺔ ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ) : ﻻ - ﻭﺍﻟﻠﻪ - ﻣﺎ ﻣﺴﺖ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ) ﻳﺪ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻗﻂ ﺇﻻ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻳﻤﻠﻜﻬﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 6674 )
তরজমাঃ- আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:আল্লাহর ক্বসম!নবীজী সা:এর হাত কখনো কোনো বেগানা মহিলার হাতকে স্পর্শ করেনি।আরও অনেক সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,গায়রে মাহরাম পুরুষ-মহিলার দেখা-সাক্ষ্যাৎ সম্পূর্ণ হারাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...