ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1203 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
শুধু স্বর্ণ থাকলে স্বর্ণের নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।আর শুধু রূপা থাকলে রূপার নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।টাকা থাকলে রূপার নেসাব সমপরিমাণ হলে যাকাত আসবে।
কিছু স্বর্ণ এবং কিছু রূপা থাকলে স্বর্ণ এবং রূপাকে মিলিত করে উভয়টির মূল্য যদি রূপার নেসাব সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলে যাকাত আসবে।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/২৭৭)
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৬/৮৭)
https://www.ifatwa.info/1642 নং প্রশ্নে আমরা বলেছি যে,
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1688
মালে নামী(ক্রমবর্ধমান)মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1811
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার ঐ বোনের উপর যাকাতও ওয়াজিব হবে এবং কুরবানিও ওয়াজিব হবো। উনি এক বৎসরের একটি বকরি দ্বারা কুরবানি করবেন।কেননা উনার নিকট থাকা স্বর্ণ এবং রুপ্য কে বিক্রয় করলে, ৫২ ভড়ি রুপ্যর সমান হয়ে যাবে। তাই উনার উপর যাকাত ও কুরবানি উভয়টি ওয়াজিব হবে।
যদি উনি রুপ্যকে বিক্রয় করে নেন, এবং উনার নিকট নগদ কোনো টাকা না থাকে, তাহলে উনার উপর যাকাতও আসবে না, এবং কুরবানিও উনার উপর ওয়াজিব হবে না।