আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,

আমার কুরবানীর নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে কিন্তু চলমান উপার্জন সীমিত হওয়ায় আমি ভাগে কুরবানী দিতে চাচ্ছিলাম। আমার বাবা চাচা ভাগে কুরবানী দিয়ে থাকে প্রতিবছির। যেহেতু আমার উপর কুরবানী ওয়াজীব তাই আমি চাচ্ছিলাম আমি কিছু টাকা বাবাকে দিয়ে বলবো বাকি কিছুটা এড করে আমার এক নাম শরীক করতে। আর তাছাড়া একা খাসি কুরবানী দেয়াটাও একটু কষ্টসাধ্য আমার জন্য এবং যেহেতু বাবা দিচ্ছে সেখানে শরীক না হয়ে আলাদা খাসি কুরবানী দেয়াটাও কিছুটা ঐক্য বিনষ্টের পর্যায়ে পরে যায় আমাদের সমাজে, যেহেতু এখনো আমরা একই ফ্যামিলির মধ্যেই। কিন্তু সমস্যা টা হচ্ছে আমি ফিক্বহের দারসে পড়েছিলাম যদি কারো উপার্জন হারাম হয় এবং নিয়ত সহীহ না হয় সেক্ষেত্রে ভাগে কুরবানী দিলে কারো মধ্যে সমস্যা থাকলে বাকি কারোটা কুরবানী হবেনা। আর বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই কুরবানী দেয়াটা লোক দেখানো পর্যায়ে পৌছেছে, না দেয়াটা লোকে কি বলবে এটাও ভাবে অনেকে তাই আমি খুবই দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় আছি। যদি আমার বাবা কিংবা চাচার ফ্যামিলির কারো নিয়তে এমন সমস্যা থাকে তাহলে কি আমার টাও কবুল হবেনা? যদিও অন্তরের খবর আমি জানিনা কিন্তু বিভিন্ন বিষয় দেখলে মনে হয় সবার মাঝে লোক দেখানো বিষয়টা কিছুটা হলেও কাজ করে। এখন আমি কি করতে পারি যদি একটু বলে দিতেন? আর এ বিষয়টা কি নির্ধারিত যে একজনের জন্য সবারটা বাতিল হবে নাকি মতভেদ রয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা’আলা বলেন, 

لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ

এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সূরা হাজ্ব-৩৭)

শরীয়তের বিধান হলো যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯)

فتاوی شامی (6/ 326)
'' قد علم أن الشرط قصد القربة من الكل''۔
সারমর্মঃ
জানা গেলো যে সকলের হতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিয়ত করা শর্ত।

الفتاوى الهندية (5/ 304)
'' وإن كان كل واحد منهم صبياً أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانياً ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضاً، كذا في السراجية

তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪) 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/18148

(إن کان شریک الستة نصرانیا أو مریدا اللحم لم یجز عن واحد منہم لأن الإراقة لاتتجزأ ۔ (الدرالمختار، کتاب الأضحیة: ۹/۴۷۲، ط: زکریا) ۔
সারমর্মঃ
যদি ছয় শরীকের মধ্যে কেহ নাসারা হয়,বা গোশত খাওয়ার নিয়ত করে,তাহলে কাহারো থেকেই কুরবানী জায়েজ হবেনা। 

★যদি শরীকদের মধ্যে সকলেই মুসলমান হয়,এবং কাহারো থেকে এটি প্রকাশ্যভাবে বলা হয়নি যে সে গোশত খাওয়ার নিয়তে অংশ নিচ্ছে,তাহলে মুসলমানের মুআমেলাহ সঠিকতার উপর ধরা হবে,এবং ভালো ধারণা এটি রাখা হবে যে যে কুরবানীর দিন গুলোতে মুসলমান কুরবানীরই নিয়তে পশু জবাই করে,বা শরীক হয়।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সকলের থেকে ভালো নিয়ত উদ্দেশ্য নিবেন।
কেননা ঐ সব শরীকদের তো নিজের কুরবানী নিজ যিম্মা থেকে সাকেত হয়ে যাওয়ার সকলেই নিয়ত করেন।
কুরবানীর নিয়ত না করে অন্য সিজনে কিছু মানুষ মিলে গোশতের জন্য গরু জবাইয়ের মতো কুরবানীর দিন গুলোতেও শুধুমাত্র গোশত খাওয়ার নিয়তে তো কেউ কুরবানী দেয়না।

★সুতরাং আপনি টেনশন মুক্ত থেকেই ভাগে কুরবানী দিতে পারেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 170 views
...