আল্লাহ তা’আলা বলেন,
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সূরা হাজ্ব-৩৭)
শরীয়তের বিধান হলো যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯)
فتاوی شامی (6/ 326)
'' قد علم أن الشرط قصد القربة من الكل''۔
সারমর্মঃ
জানা গেলো যে সকলের হতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিয়ত করা শর্ত।
الفتاوى الهندية (5/ 304)
'' وإن كان كل واحد منهم صبياً أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانياً ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضاً، كذا في السراجية
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪)
(إن کان شریک الستة نصرانیا أو مریدا اللحم لم یجز عن واحد منہم لأن الإراقة لاتتجزأ ۔ (الدرالمختار، کتاب الأضحیة: ۹/۴۷۲، ط: زکریا) ۔
সারমর্মঃ
যদি ছয় শরীকের মধ্যে কেহ নাসারা হয়,বা গোশত খাওয়ার নিয়ত করে,তাহলে কাহারো থেকেই কুরবানী জায়েজ হবেনা।
★যদি শরীকদের মধ্যে সকলেই মুসলমান হয়,এবং কাহারো থেকে এটি প্রকাশ্যভাবে বলা হয়নি যে সে গোশত খাওয়ার নিয়তে অংশ নিচ্ছে,তাহলে মুসলমানের মুআমেলাহ সঠিকতার উপর ধরা হবে,এবং ভালো ধারণা এটি রাখা হবে যে যে কুরবানীর দিন গুলোতে মুসলমান কুরবানীরই নিয়তে পশু জবাই করে,বা শরীক হয়।