জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
হারাম কাজ করতে হয়, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ইসলাম অনুমোদন করে না।
পক্ষান্তরে যদি প্রতিষ্ঠানটি এমন কোনো কাজ করে যা মূলগতভাবে হারাম নয় কিন্তু মানুষ এটাকে মন্দ বা হারাম কাজে ব্যবহার করে, এধরণের প্রতিষ্ঠানে
চাকরি করা বৈধ।
জন্ম নিয়ন্ত্রনের সমস্ত ছুরত যেহেতু হারাম নয়,তাই ঢালাওভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণকে হারাম বলা যায়না,এটা নিয়ন্ত্রন কারীর নিয়ত ইত্যাদির উপর ডিপেন্ড করে।
,
সুতরাং পরিবার পরিকল্পনাতে চাকুরী বৈধ হবে।
তবে সর্বদায় খেয়াল রাখতে হবে যে শরীয়ত বহির্ভুত কোনো কাজ যেনো না হয়।
শরীয়তের আওতায় থেকে কথা বলতে হবে,শরীয়ত বহির্ভুত কোনো দিক নির্দেশনা ইত্যাদি দেওয়া যাবেনা।
عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ
‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয।
(শু‘আবুল ঈমান ৮৩৬৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৬৯৫.মিশকাতুল মাসাবিহ ২৭৮১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদ বাবার চাকুরী জায়েজ।
ইনকাম হালাল।
,
তবে স্থায়ীভাবে বন্ধ্যাত্ব করানোর কার্যক্রম এর সমযয়ে আপনার বাবা যে সেখানে উপস্থিত থাকেন, এতে তার হারাম কাজে সহযোগিতা হচ্ছে।
এর কারনে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।