ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ يُحِبَّ أَنْ يُرَى أَثَرُ نِعْمَتِهِ عَلَى عَبْدِهِ " .
আমর ইবনু শু'আইব (রাহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত, তার দাদা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা তার দেয়া নি’মাতের নিদর্শন তার বান্দার উপর দেখতে ভালোবাসেন (অর্থাৎ- যাকে যে রকম নি’মাত প্রদান করা হয়েছে সেনুযায়ী পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করা আল্লাহ পছন্দ করেন)।
(তিরমিজি ২৮১৯)
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিনয়াবত হয়ে সুন্দর পোশাক পরিহার করে, আল্লাহ তাআলা তাকে মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের পোশাক পরিধান করাবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৭৮)
আবু বুরদাহ (রহ.) বলেন, আয়েশা (রা.) আমাদের কাছে একটি মোটা জটবদ্ধ চাদর এবং মোটা কাপড়ের লুঙ্গি নিয়ে এসে বলেন : ‘এই দুই কাপড়েই মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকাল হয়েছে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৩৩)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী করিম (সা.) যে বিছানায় নিদ্রা যেতেন, তা ছিল চামড়ার তৈরি। এর মধ্যে খেজুরগাছের আঁশ ভরা ছিল।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৬১)
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন, যদি তুমি পরকালে (মর্যাদার দিক থেকে) আমার পাশে থাকতে চাও, তাহলে তিনটি বিষয়ের ওপর আমল করবে। এক. দুনিয়ায় তোমার জন্য মুসাফিরের মতো প্রয়োজনীয় পাথেয় যথেষ্ট হোক। দুই. বিত্তশালীদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকবে। তিন. পট্টি, তালি ও পুনর্বার সেলাই করা ছাড়া কাপড়কে পরিত্যক্ত করে দেবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৭৮০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ভালো পোশাক থাকা সত্ত্বেও তালি যুক্ত পোশাক পরিধান করার বিষয় রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ছাহাবায়ে কেরামগনদের থেকে পাইনি।
আবার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বর্তমান যুগে তালি যুক্ত পোশাক পরিধান করলে মনের মধ্যে উল্টো আরেক রোগ লোক দেখানোর বিষয় আসার সম্ভাবনা প্রবল।
মনের মধ্যে এটা আসবে যে মানুষগন দেখবে যে আমার মাঝে অহংকার নেই,আমি তালি যুক্ত পোশাক পরিধান করেছি,তাহলে আমি কত বিনয়ী,ইত্যাদি।
,
সুতরাং সর্বপরি পরামর্শ থাকবে যে যেহেতু ভালো পোশাক পরিধান করার সামর্থ রয়েছে,সুতরাং এ অবস্থায় তালি যুক্ত পোশাক পরিধান না করার।
তবে যেই পোশাক পরিধান করবেন,সেটির দ্বারা যেনো মনের মধ্যে কোনো অহংকার না আসে,সেদিকে সচেতন থাকবেন।
(০২)
তালি যেমনটি বলে,সেটাই উদ্দেশ্য।
যখন কাপড়ের কোথাও বারবার সেলাই করতে করতে আর সেলাই করা যায়না,তখন সেই স্থানের উপরে আরেকটি কাপড়ের অংশ দিয়ে তালি দেয়া।