আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ।
আমার তিনটি প্রশ্ন ছিলো। উত্তরগুলো  জানা খুবই
 জরুরি। আমার স্ত্রী মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগি। তার নিচের তিনটি বিষয় নিয়ে খুব সম্যসা।

১.) বিয়ের আগে থেকেই আমি কাবিনের ১৮,১৯ নং প্যারার স্ত্রীর তালাকের অধিকার নেওয়ার ব্যাপারে
 জানতাম। কিন্তু বিয়ের দিন ব্যস্ততার কারণে ১৮,১৯ নং পয়েন্ট আমার স্মরনে ছিল না
বিয়ের  সময় কাজি আমাকে স্ত্রীর তালাকের অধিকার এর ব্যাপারে  কিছু  জিজ্ঞেস করে নি। আমাকে  যেখানে স্বাক্ষর দিতে বলছে  আমি তার কথা মতো
 কাবিননামায়  সেখানে শুধু  স্বাক্ষর দেই। এছাড়া
আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করে নি।
কাবিননামায় কাজি তালাকের অধিকার লিখে থাকলে
এতে কি আমার স্ত্রী  নিজের উপর তালাক দেওয়ার
অধিকার পাবে?

২.) আমি পান খাই।  গত বছর আমার স্ত্রী পান খেতে  নিষেধ করায় আমি  বলেছি, পান আমি খাবোই,  যার
ইচ্ছে হয় থাকবে, যার ইচ্ছে হয় চলে যাবে।
 এ কথা দ্বারা স্ত্রী নিজের উপর তালাক দেওয়ার
অধিকার পাবে?
আর যদি অধিকার  পেয়েও থাকে এটা সেই সময়েই
 প্রযোজ্য হতো,  নাকি এখনো সারা জীবন নিজের
উপর তালাক নিতে পারবে এই কথা দ্বারা?
৩.) স্বামী  যদি স্ত্রী কে বলে তোমাকে আমি তালাক
 নেওয়ার অধিকার দিলাম।
এ কথা কি শুধু ঐ মজলিশেই কার্যকর হতে হবে?  নাকি সারা জীবনের জন্য  অধিকার পাবে?
আশা করি আমার প্রশ্ন তিনটি পয়েন্ট আকারে উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (576,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/35074/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।
(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে,
""বিয়ের দিন ব্যস্ততার কারণে ১৮,১৯ নং পয়েন্ট আমার স্মরনে ছিল না।
বিয়ের  সময় কাজি আমাকে স্ত্রীর তালাকের অধিকার এর ব্যাপারে  কিছু  জিজ্ঞেস করে নি। আমাকে  যেখানে স্বাক্ষর দিতে বলছে  আমি তার কথা মতো
 কাবিননামায়  সেখানে শুধু  স্বাক্ষর দেই""

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।

আর যদি এই কাবিন নামা ইজাব কবুল হওয়ার আগেই লেখা হয়,তাহলে তো স্ত্রীর তালাকের ক্ষমতা পাওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 

(০২)
এ কথার দ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।

(০৩)
এখানে উক্ত মজলিসেই তালাক দিতে হবে,এমন কোনো ইঙ্গিত যেহেতু নেই,তাই এখানে স্ত্রী সারা জীবনের জন্য তালাকের অধিকার পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...