আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (13 points)
edited by
হুজুর, প্রায় ১ মাস ধরে ঈমান সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসায় ভুগছি। আমি ক্লান্ত, আমি কিছু পরামর্শ নিবো। আপনার এই পরামর্শ অনুযায়ী কমপক্ষে ১ মাস আমল করে তারপর এই ব্যাপারে প্রশ্ন করবো যদি নতুন প্রশ্নের উদয় হয়। আমি আপনার পরামর্শ অনুযায়ীই আমল করবো - ইনশাআল্লাহ।
১৷ https://ifatwa.info/47727/  এই লিংকের ১নং প্রশ্ন অনুসারে কি আমি যতবার কালিম শাহাদাত পাঠ করবো ততবারই কি ওয়াদা/কসম ভঙ্গ হবে? আমি এরপর অনেকবার কালিমা পাঠ করেছি। উক্ত ওয়াদা/কসম কি ভেঙে গেছে নাকি কুরবানির ঈদ পর্যন্ত চলবে?
২। যেহেতু আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে উক্ত সময় ব্যতিত কালিমা পাঠ করবো না এজন্য আমি উক্ত সময়ের বাইরে কালিমা পাঠ করার সময় প্রতিবার ক্ষমা চেয়ে নিতাম। এটা কি সঠিক পদ্ধতি ছিল? এখন কালিমা পাঠ করলেও প্রথমে ক্ষমা চাই না উক্ত ওয়াদার জন্য আমার কালিমা পাঠ কি আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য হবে?

৩. আমি ঈমান ধরে রাখলেই মাথার মদ্ধ্যে খারাপ চিন্তা আসতেই থাকে। তখন, আমি মেনেই নেই যে আমার ঈমান নেই। - এভাবে কি ঈমান আসলেই চলে যায়?

৪. আমি যদি ইসলাম সম্পর্কে খারাপ চিন্তা করেই ফেলি ইচ্ছাকৃত তাহলে কি ঈমান ভেঙে যাবে নাকি তওবা করায় যথেষ্ট হয়ে যাবে? কারণ, আমি বুঝতেই পারি না যে আমি কি ইচ্ছা করে খারাপ চিন্তা আনি কি না?
৫. আমি কখন বুঝতে পারবো যে আমি ঈমান হারিয়ে ফেলেছি? আমার তো সাভাবিক বিবেক হারিয়ে গেছে মনে হয়।
৬. আমার এই অবস্থায় কি ঈমান ভেঙে যাওয়ার ব্যাপারে কি কোন শিথিলতা রয়েছে?

৭. মনে মনে কি ধরনের চিন্তা করলে ঈমান ভেঙে যায়? আমার মনে অনেক সময় হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করে ফেলি। পরে ভুল বুঝতে পারি। এক্ষেত্র,, কি আমার ঈমান ভেঙে যায় নাকি তওবা করাই যথেষ্ট?

৮. আমি চাই এসব ওয়াসওয়াসা পাত্তা না দিতে। কিন্তু ভয় থাকে যে যদি সত্যিই ঈমান চলে গিয়ে থাকে - এই ভয়ে আমি শুধু কালিমা পড়ে।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِىُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْأَيْلِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ نَذَرَ أَنْ يُطِيعَ اللَّهَ فَلْيُطِعْهُ، وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَ اللَّهَ فَلَا يَعْصِهِ صحيح

‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের মানত করে সে যেন তাঁর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফরমানীর মানত করে সে যেন তা না করে।
(আবু দাউদ ৩২৮৯.ইবনু মাজাহ (২১২৬)।

প্রশ্নে উল্লেখিত লিংকে যেই প্রশ্ন রয়েছে,তাতে উল্লেখ রয়েছে যে, 
আমি আসলে ওয়াদা করেছিলাম, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমি সকাল ও রাত ছাড়া কালিমা শাহাদাত পাঠ করবো না।

এর জবাবে মুফতী সাহেব দাঃ বাঃ বলেছেন যে কালেমা না পড়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা দ্বারা কসম হয়ে যাবে।কেননা এটা হালালকে হারাম করার নামান্তর।এবং অতি দ্রুত উক্ত কসমকে ভেঙ্গে  কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যতদিন কালেমায়ে শাহাদত না পড়ার কসম করেছিলেন,ততদিনের মধ্যে কসম ভেঙ্গে ফেলে কালেমায়ে শাহাদত একবার পাঠ করবেন।

আর একটি কাফফারা আদায় করবেন।

(০২)
উক্ত ওয়াদা সত্ত্বেও আপনার কালেমা পাঠ  আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য হবে।

(০৩)
না,এভাবে আপনার ঈমান আসলেই চলে যাবেনা।

(০৪)
আপনার জন্য তওবা যথেষ্ট হবে।

(০৫)
আপনার এগুলো নিয়ে কোনো টেনশন করার প্রয়োজনীয়তা নেই।

এটি আপনি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে শরীয়তের পথে চলুন,স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।

(০৬)
হ্যাঁ আছে।

(০৭)
আপনার জন্য তওবা যথেষ্ট হবে।

(০৮)
এই ভয়কে প্রাধান্য দেয়ার কারনে ওয়াসওয়াসা বেড়েই চলছে।
তাই পরামর্শ থাকবে এগুলোকে পাত্তা না দিয়ে চলার।
ওয়াসওয়াসা এটি শয়তান থেকে আসছে। 

দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ থাকবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...