বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِىُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْأَيْلِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ نَذَرَ أَنْ يُطِيعَ اللَّهَ فَلْيُطِعْهُ، وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَ اللَّهَ فَلَا يَعْصِهِ صحيح
‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের মানত করে সে যেন তাঁর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফরমানীর মানত করে সে যেন তা না করে।
(আবু দাউদ ৩২৮৯.ইবনু মাজাহ (২১২৬)।
প্রশ্নে উল্লেখিত লিংকে যেই প্রশ্ন রয়েছে,তাতে উল্লেখ রয়েছে যে,
আমি আসলে ওয়াদা করেছিলাম, কোরবানির ঈদ পর্যন্ত আমি সকাল ও রাত ছাড়া কালিমা শাহাদাত পাঠ করবো না।
এর জবাবে মুফতী সাহেব দাঃ বাঃ বলেছেন যে কালেমা না পড়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা দ্বারা কসম হয়ে যাবে।কেননা এটা হালালকে হারাম করার নামান্তর।এবং অতি দ্রুত উক্ত কসমকে ভেঙ্গে কাফফারা দেওয়া ওয়াজিব।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যতদিন কালেমায়ে শাহাদত না পড়ার কসম করেছিলেন,ততদিনের মধ্যে কসম ভেঙ্গে ফেলে কালেমায়ে শাহাদত একবার পাঠ করবেন।
আর একটি কাফফারা আদায় করবেন।
(০২)
উক্ত ওয়াদা সত্ত্বেও আপনার কালেমা পাঠ আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য হবে।
(০৩)
না,এভাবে আপনার ঈমান আসলেই চলে যাবেনা।
(০৪)
আপনার জন্য তওবা যথেষ্ট হবে।
(০৫)
আপনার এগুলো নিয়ে কোনো টেনশন করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
এটি আপনি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে শরীয়তের পথে চলুন,স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
(০৬)
হ্যাঁ আছে।
(০৭)
আপনার জন্য তওবা যথেষ্ট হবে।
(০৮)
এই ভয়কে প্রাধান্য দেয়ার কারনে ওয়াসওয়াসা বেড়েই চলছে।
তাই পরামর্শ থাকবে এগুলোকে পাত্তা না দিয়ে চলার।
ওয়াসওয়াসা এটি শয়তান থেকে আসছে।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ থাকবে।