আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (13 points)
edited by
হুজুর, এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য আমি লজ্জিত। আপনি আমাকে অনেক বুঝিয়েছেন৷ কিন্তু নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আমার ঈমান হারানোর ওয়াসওয়াসা রয়েছে। আপনি আমাকে অনেক বুঝিয়েছেন।

আমার মনে চিন্তা ছিল যে, ঈমান হারানো অবস্থায় যদি ফেইসবুকে কারো সাথে চ্যাট করি তাহলে তা ডিলিট করতে হবে তারপর ঈমান আনতে হবে। অনেক কষ্টে এই ভাবনা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি। আমি ম্যাসেজ দিয়ে দিয়ে ডিলেট করতাম আর কালিমা পড়তাম। আজকে আবার একজনকে ম্যাসেজ দেওয়ার পর মনে হলো এই ম্যাসেজ এর মাধ্যমে আমার ঈমান চলে গেছে। তাই, আমি ম্যাসেজ কেটে দিয়েছি। পরে আমার বার বার মনে আসতে থাকলো সব ম্যাসেজ ডিলিট করতে হবে। নিজেকে শান্ত করতে পারছিলাম না। এক পর্যায়ে আমার কাছে মনে হলো যে, সব ম্যাসেজ ডিলেট করে দিতে হবে - এটা কি আমি উচ্চারণ করে বলে ফেললাম কি না? তাই, ভয়ে সিন্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ম্যাসেজ ডিলিট করে দিবো, কয়েকজন কে আনফ্রেন্ড করবো। কারণ, আমার ভয় ছিল যে ম্যাসেজ না ডিলিট করলে ঈমান আসবে না। পরে, আমার সিন্ধান্ত পরিবর্তন করে নিলাম যে ম্যাসেজ ডিলিট করবো না। কারণ, এতে আমার ওয়াসওয়াসা অনেক বেড়ে যায়। তাছাড়া, কয়েকদিন আগে কয়েকজনকে আনফ্রেন্ড করে আবার ফ্রেন্ড বানাইছি৷ এখন, আবার আনফ্রেন্ড করে আবার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিলে তারা আমাকে প্রশ্ন করবে যে আবার কি সমস্যা হইছে?

১. হুজুর, এই অবস্থায় আমার কি ম্যাসেজ ডিলিট করা কিংবা তাদের আনফ্রেন্ড করা উচিত?
২. আমি যদি উচ্চারণ করে এই ধরনের কসম কিংবা ওয়াদা করে থাকি যে, "ম্যাসেজ ডিলিট না করলে, আনফ্রেন্ড না করলে, কিংবা ফেইসবুক ডিলিট না করলে কালিমা পড়লেও ঈমান আসবে না।" তাহলে কি সত্যিই তা কার্যকর হবে? তওবা করে এই কসম কিংবা ওয়াদা কি বাতিল করা যাবে নাকি ম্যাসেজ ডিলিট, আনফ্রেন্ড করে কিংবা ফেইসবুক আইডি ডিলিট করতেই হবে?
৩. আমার এসব প্রশ্ন লেখার সময় উচ্চারণ করলে কি তা কার্যকর হয়ে যাবেে? কিংবা প্রস্ন করার করার মাধ্যমে কি ওয়াদা কিংবা কসম কিংবা নিয়ত হয়ে গেছে?

৪. হুজুর আমার কাছে ঈমান সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমার জন্য কোনটা করা উত্তম হবে?

৫. হুজুর, আমি যদি আপনার দেওয়া সব পরামর্শ মেনে চলতে না পারি শুধু আমার ইচ্ছামত মেনে চলি তাহলে কি হুজুর যেইগুলা মেনে চলেছে সেটা আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم



প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
এই অবস্থায় ম্যাসেজ ডিলিট করা বা ডিলিট না করা কিংবা তাদের আনফ্রেন্ড করা বা আনফ্রেন্ড না করা সবই আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। 
এর সাথে আপনার ঈমান চলে যাওয়ার সম্পর্ক নেই।
,
তবে ঈমানের ক্ষতির আশংকায় পূর্বের ন্যায় আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে ফেসবুক জগত থেকে দূরে থাকার।
যাতে আপনার ঈমান আমলের ক্ষেত্রে কোনো চিন্তিত না হতে হয়।   

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় কার্যকর হবেনা।
,
আপনি ম্যাসেজ ডিলিট না করলেও, আনফ্রেন্ড না করলেও, কিংবা ফেইসবুক ডিলিট না করলেও আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
তাই নতুন করে ঈমান আনার প্রয়োজনীয়তা নেই। 

ম্যাসেজ ডিলিট, আনফ্রেন্ড করে কিংবা ফেইসবুক আইডি ডিলিট করতে হবেনা।
করলেও কোনো সমস্যা নেই,না করলেও কোনো সমস্যা নেই।

প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি কোনো কসম ছিলোনা,ওয়াদাও ছিলোনা।
তাই কসম,ওয়াদা কিছুই বাতিল করতে হবেনা।

(০৩)
আপনার এসব প্রশ্ন লেখার সময় উচ্চারণ করলে তা কার্যকর হয়ে যাবেনা। 
প্রশ্ন করার মাধ্যমে ওয়াদা কিংবা কসম কিংবা নিয়ত হয়ে যায়নি।


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
পূর্বের ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  

আপনাকে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে। শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে সর্বদা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন। বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চান। এবং মনে প্রাণে আল্লাহর কাছে সমস্যা উত্তোরণের জন্য দু'আ করতে থাকুন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।

দ্বিতীয় কথা হল, আপনি তাসাউফ চর্চা করবেন।তথা নেককার লোকের সাথে সম্পর্ক রাখবেন ও তাদের সংস্পর্শকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করবেন। নেককার লোকের সাথে সম্পর্ক যদি রাখেন, তাহলে আ'মলে বরকত হবে, এবং ধীরে ধীরে এই ওয়াসওয়াসা রোগ দূর হয়ে যাবে।

https://www.ifatwa.info/1037 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মশুদ্ধি।এই আত্মশুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037

অথবা দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথেও যুক্ত হতে পারেন।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...