আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
616 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ শায়খ,
ফেসবুকে অনেক দ্বীনি মহলেই শুনি কোন স্ত্রীর জন্য নাকি ঘরের রান্নাবান্না করা, সন্তান লালনপালন  ফরজ না (!)

স্বামী এসব কাজ কর্মচারী রেখে করে নিবে।

কিন্তু আমরা তো জানি, স্বামীর যেকোন জায়েজ হুকুম পালন করা স্ত্রীর জন্য ওয়াজিব।
একজন স্ত্রীর জন্য বিবাহের পর কি কি কাজ করা ফারজ বা ওয়াজিব তা জানতে পারলে উপকৃত হতাম।

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি অনেক অধিকার ও হক্ব রহিয়াছে।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 430

রান্নাবান্না করা, সন্তান দেখভাল করা যদিও ফিকহের উসূলমতে স্ত্রীর দায়িত্ব না, তবে সংসার দীর্ঘস্থায়ী করার এটি একটি মোক্ষম হাতিয়ার এবং ভদ্রতা ও সৌজন্যতা।

ঠিক তদ্রপ স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয়ভারও স্বামীর দায়িত্ব না।যদিও এটা তার জন্য বদান্যতার উত্তম পরিচায়ক।

মুফতী তাকী উসমানী রাহ প্রথমে এভাবে বলতেন।কিন্তু পরবর্তীতে উনি রান্না এবং চিকিৎসা ব্যয় কে সামনাসামনি দাড় করিয়ে স্ত্রীকে রান্নাবান্না করা ও সন্তান দেখভালের পরামর্শ দিয়েছেন।

বিস্তারিত জানতে উনার ওয়েবসাইট muftitaqiusmani.com দ্রষ্টব্য।

পারিবারিক জীবন উদারতা এবং বদান্যতা এর উপর স্থিতিশীল। যতদিন উদান মনমানসিকা থাকবে ততদিন পরিবারে শান্তি থাকবে।বন্ধন অটুট থাকবে।

'এই এই স্ত্রীদের দায়িত্বে নেই ' এ কথা শুধুমাত্র কোর্টকাছারির উঠানে প্রয়জনে উঠবে।

শরীয়ত পুরুষদেরকে একথা জানিয়ে দিচ্ছে যে, মহিলাকে যখন শরীয়ত এই এই বিষয়ের দায়িত্ব দেয়নি, এরপরও যখন তারা করছে সুতরাং তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা সকল পুরুষের জন্য কাম্য।এর অর্থ কখনো এ হতে পারে না যে,পুরুষকে সব দায়িত্ব পালন করতে হবে আর নারীরাই শুধু খাবে আর সন্তান জন্ম দিবে।তারপর তাদের সব দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে।

হ্যা যখন ঝগড়া বেধে যাবে, তখন শরীয়ত নারীদের ফ্রী সম্পাদিত কাজগুলো পুরুষদের স্বরণ করিয়ে দিবে।

যেমন সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী যখন শিশুকে দুধ খাওয়াতে অস্বিকার, তখন তার এ অধিকার রয়েছে।স্বামী অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে শিশুকে দুধ খাওয়াবে।কিন্তু ঐ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী যখন উক্ত সন্তানকে দুধ খাইয়ে দিবেন।তারপর যদি উনি সন্তানের পিতার নিকট পারিশ্রমিক এর দাবী করবেন।তখন শরীয়ত উনাকে উক্ত পারিশ্রমিক গ্রহণের অনুমতি দিবে না।

যাইহোক আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাপত্রে যতক্ষণ না পূর্ণ ইসলামি শিক্ষা মন্থিত না হচ্ছে ততদিন নারীদের পক্ষ থেকে এমন দাবী উঠে না আসাই মঙ্গলজনক হবে।

সর্বোপরি নারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনই সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের প্রথম পদক্ষেপ।

আল্লাহ- ভালো জানেন।

পরামর্শ প্রদাণে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...