بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/36011/?show=36011#q36011
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
ওয়াবিসা
ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ
ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ
: « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ
ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ
ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ
" ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ
."
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম। রাসূলুল্লাহ
সাঃ আমাকে বললেন, তুমি কি
নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ? আমি বললাম জ্বী হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি
আমাকে বললেন,তুমি তোমার
অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো। নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।
আর গোনাহ হল সেটা, যা অন্তরে
অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়, এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে। যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ
বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)
নিজে উপার্জন
করে খাওয়ার কথা রাসুল সাঃ বলেছেন। হাদীসে এসেছে, হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ
- ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ
ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ - ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ
ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» "
রাসূলুল্লাহ
সাঃ বলেন, নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক
উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি। আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই
দিনাতিপাত করতেন। (মিশকাত-২৭৫৯)
হযরত ইবনে
মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ
- رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ
الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসুলাল্লাহ
সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য
ফরয বিধানের পরই ফরয। (মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. কোন
খাদেম বা খাদেমাকে অগ্রিম বেতন দেওয়া জায়েয আছে। তবে এটি নির্ভর করবে প্রাথমিক চুক্তি
বা শর্তের উপর। যদি পূর্বে থেকেই এমন আলোচনা হয় যে, ছুটিতেও তাকে বেতন দিতে হবে তাহলে
আপনার জন্য তাকে ছুটিতেও বেতন দেওয়া আবশ্যক। পূর্ব কোন আলোচনা না হয়ে থাকলে আপনি তাকে
অগ্রিম কিংবা মাস শেষে বেতন দিতে পারেন আপনার ইচ্ছানুযায়ী আর যদি এমন কোন চুক্তি
না হয়ে থাকে তাহলে তা আপনার জন্য জরুরী নয়। এমতাবস্থায় তার বেতন চাওয়া অনৈতিক বলে
গন্য হবে। সর্বপরি আপনার থেকে কোন মাসের বেতন নেওয়ার পর সে যদি ঐ মাস আপনার খেদমত
না করে অন্যত্র চলে যায় তাহলে তা ধোকার সামিল হবে। যার জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে
জবাবদিহিতা করতে হবে।
২. যদি ছুটিতে থাকার সময়ও টিউশনির
টাকা নেওয়ার পূর্ব শর্ত থাকে তাহলে আপনি সে টাকার হকদার হিসেবে দাবি করতে পারবেন।
অন্যথায় আপনার জন্য তা দাবি করা জায়েয হবে না।