আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।
মাফ করা উত্তম একটা কাজ, এবং আমাদের সবার মাফ করে দেওয়া উচিত যাতে আল্লাহ ও আমাদের মাফ করেন। কিন্তু কেউ যদি কারো উপর জুলুম করে, জেনে হোক না জেনে। আর মাজলুম ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন যে তিনি ন্যায় বিচার চান, তবে সে অন্যায় কারিকে মাফ করে দিয়েছেন মনে মনে, তবে তার প্রতি অন্যায়ের ও বিচার চায় তবে আল্লাহ কি জুলুম কারীকে মাফ করে দেবেন নাকি, অন্যায় এর শাস্তি দেবেন?


যদি এমন হয় খুব কঠোর শাস্তি না হোক, মাজলুম যেহেতু ন্যায় বিচার চেয়েছেন, তাই হক নষ্টকারী র শাস্তি হলো। তাহলে এই যে আমরা কত গুনাহ্ করে, আল্লহর কাছে মাফ চাই, আল্লাহ যদি মাফ করেও দেন তাও কী আমাদের শাস্তি হবে? কত ক্ষেত্রে তো আমরা নিজেদের বা আল্লাহর হক নষ্ট করে ফেলি। অতঃপর অনুতপ্ত হয়ে মাফ চায়। এক্ষেত্রে ন্যায় বিচার কোনটা?
closed

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19877 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ ﻓﻲ " ﺷﺮﺡ ﻣﺴﻠﻢ " ( 11/50 ) :
" ﻭﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻳﺪٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺟﻮﺍﺯ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻈﺎﻟﻢ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
ﻭﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ ﺍﻟﻤﻈﻠﻮﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻓﻼ ﻳﺘﻌﺪَّ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﺘﺠﺎﻭﺯْ ﻣﺎ ﺷﺮﻋﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ .
ইমাম নববী বলেনঃঅত্র হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে যালিমের উপর বদদো'আ করা বৈধ আছে,যখন দো'আয় কোনো প্রকার সীমালঙ্ঘন হবে না,এবং অবৈধ দু'আ হবেনা।
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍﻟﺒﺼﺮﻱ :
( ﻻ ﻳﺪﻉ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﻟﻴﻘﻞ : ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﻋﻨّﻲ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﺍﺳﺘﺨﺮﺝ ﺣﻘّﻲ ﻣﻨﻪ ) .
ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔٍ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ( ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺃﻥ ﻳﻌﺘﺪﻱ ﻋﻠﻴﻪ ) ﺍﻧﺘﻬﻰ . " ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﺑﻦ ﻛﺜﻴﺮ " ( 1/572 )
ইমাম হাসান বসরী রাহ বলেনঃমাযলুম যালিমের উপর কখনো বদদু'আ করবেনা,বরং সে বলবেঃহে আল্লাহ তার কাছে থেকে আমার হক্বকে ফিরিয়ে দাও,কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায়,তিনি বলেনঃতার জন্য অনুমতি রয়েছে, সে যালিমের বিপক্ষে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত দু'আ করতে পারবে,(তাফসিরে ইবনে ক্বাসির, ১/৫৭২)
এই সমস্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যালিমের বিপক্ষে দু'আ করা ও আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক যুলুম এর  প্রতিশোধের অপেক্ষা করা বৈধ আছে,এতে কোনো প্রকার গোনাহ হবেনা।তবে সর্বাবস্থায় ক্ষমা করে দেয়াই উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কেউ জালিমকে ক্ষমা করে দিলে, তার জুলুমের সীমা বেড়ে গেলে, আল্লাহ সতর্কতামূলক অবশ্যই তাকে সামান্য শাস্তি দিতে পারেন, যাতেকরে সে শাস্তি দেখে গোনাহ থেকে ফিরে আসে। এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়।আল্লাহ চাইলে শাস্তি দিবেন।নতুবা দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...