আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাদ।
আগে একটা কথা বলে নেই,

আমার জ্বীনজাতীয় সমস্যা আছে। এরপর আসি প্রশ্নের দিকে,

১০তারিখ, জুন, ২০২২
, আমি সেদিন ইস্তেখারা করেছিলাম,কি করবো কোনো দিশা পাচ্ছি নাহ, পড়াশোনাও ভালোলাগে নাহ, আবার কিচ্ছুই মন দিয়ে করতে পারছি নাহ,কোনদিকে মনোযোগ দিবো বুঝতেছিও নাহ, তো এইজন্য ইস্তেখারা করে তাড়াতাড়ি ঘুমাই যে আল্লাহ একটা রাস্তা তো দেখাবেনই,স্বপ্নে কিছু দেখি কিন্তু উঠে আর মনে করতে পারি নাহ, কিন্তু ঘুম ভাংতেই আমি ফুরকান এর ৭৪নং আয়াতের দু"আটাপড়ি, আবার ঘুমাই, এরপর ফজর পড়ে ইস্তিখারা করে ঘুমাইলে আক্রমণাত্মক কিছু দেখি, ঘুম ভাংলে বাম দিকে ৩বার থু থু দিয়ে আবার ঘুমাই, এরপর একটা স্বপ্ন দেখি, আমি কোথাও গিয়েছি অনেক দূরে, বাট অনেক সুন্দর একটা বাড়ি, ঢুকতেই দেখি একটা দেওয়ালে মূর্তি আকাঁ, এরপর ভিতরে গেলে একটা হুজুর আমার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়, একপর্যায়ে সে নিজেই বলে, তোমার বয়স ছাব্বিশ, আমি বলি আরেহ নাহ, আমার বয়স আঠারো আর এটা নিয়ে কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি হয়, পরে বলি আমার বোরকাই এমন বয়স বুঝা যায় নাহ, এরপর উনি বলেন যাও এখন ঘুমাও সকালে ২জন আসবে, আমি এরপর ওই বাড়ির ছাদে যাই, গোসল করি, এরপর ২জন ছেলে আসে, একজন একটু লম্বা, দেখতে কালো,দাড়ি-মোচওয়ালা,কম বয়সী,তার সাথে কথা বলতে বলতে আমি ২টা বাচ্চার সাথে খেলতে থাকি,, আর অপরজন ছিলো কিছুটা খাটো,কিন্তু ফর্সা, দাড়িওয়ালা। কিন্তু আমার কালো মানুষটারে ভাল্লাগছিলো, এরপর ঘুম ভেঙে গেছে, কিন্তু আমি আসলে কিছু বুঝতে পারছিলাম না।৷ এটা শয়তানের পক্ষ থেকে ছিলো কি নাহ। কিন্তু অবাক করা বিষয়, সেইদিন বিকালেই আনার অর্ধেক দ্বীন ডট কমের ২টা বায়োডাটা খুব নজর কারে, একজন সৌদিতে ইমাম, ফর্সা,১৯৯৮ জন্মসাল,সব কিছুই ভালো ছিলো কিন্তু হাইট ৫'৬,আর উনার ডিটেইলস শুনে ভাল্লাগেনি যদিও পুরো ফ্যামিলি দ্বীনদার প্র‍্যাক্টিসিং ছিলো।আর অন্যজন হাফেজ,আলিম পরীক্ষার্থী,স্টুডেন্ট, পারিবারিক ব্যবসায়ী, জন্মসালও ২০০০, হাইট ৬'০, গায়ের রঙ -শ্যামলা লিখা ছিলো,উনার সব কিছুই কেমন যেনো ভাল্লাগছিলো,তো আমি এক আপুকে বলছি যে আমি তো ইস্তিখারা করছিলাম কোনো দিশা না পাওয়ায়, আর এমন এমন স্বপ্ন দেখছি, তো আপু ৭দিন ইস্তেখারা করতে পরামর্শ দেন। আর আমি ইস্তেখারা করে এরপর স্বপ্ন কিছু দেখলেও মনে থাকে নাহ কিন্তু সারাদিন কেমন যেনো লাগে, ভালো লাগে নাহ মন্দ লাগে সেইটাও বুঝি নাহ,তবে ইদানীং রাসূল (স), উম্মুল মু'মিনীন্দের ফ্যামিলি ম্যানেজমেন্ট এর বইগুলো পড়তে ভীষণ ভাল্লাগে আর ওইগুলায়ই সময় যায়। কিন্তু আমি এখনো পথহারা :/ কি করবো বুঝতেছিনা ক্লিয়ারলি,রাত্রের ঘুম তো এম্নিই হারাম হয়ে গেছে তাই সারারাত্রে দোয়া করতে থাকি, ইহদিনাস সিরতাল মুসতাকিম,আল্লাহ যেনো সুস্পষ্টভাবে পথ দেখান,আর ফজর পড়ে আমি ঘুমিয়ে যাই। আর আল্লাহ একটা রাস্তা তো দেখাবেনই অথবা আমাকে আগ্রহী বানাবেন যা আমার জন্য ভালো সেইদিকে এই আশায়।
১৫ জুন ২০২০.
ইস্তেখারার ৫ম/ষষ্ঠ দিন - স্বপ্নে, আমি খুব সাধারণ একটা ছেলের বিস্তারিত কাকে যেন দেখাচ্ছিলাম, কাউকে বলছি, এ ছেলেটা অতি সাধারণ,কিন্তু দেখো দ্বীনদার,তুমি তাকে দেখে নাও, হয়তো ভালো হতে পারে। বেগুনি একটা কাগজে তার সম্পর্কে কিছু লিখা,আর রাসূল (স) এর গরীবদের নিয়ে হাদিসটা আলোচনা শুনছিলাম হয়তো,যে গরীবরা ধনীদের আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে,বাস্তবে বেগুনি রঙের ফ্রম এর আগে দেখেছিলাম অর্ধেক দ্বীনেই, কিছুদিন আগে। এগুলা কি কল্পনা মিশ্রিত স্বপ্ন ? কিন্তু আমি তো এসব নিয়ে ভাবছিও না, আমি পড়াশোনায় এটেনশন দিতে পারছি না, ইবাদাত সুস্থিরভাবে করতে পারছিনাহ,একরকম পথহারা পাগলের মতো হয়ে গেছি,এরমধ্যে ইস্তেখারা করে আমি খালি ছেলেমানুষই কেনো দেখতেছি? *_°
এগুলা কি শয়তানের পক্ষ থেকে নাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখেছি তা বুঝবো কিভাবে?
২০জুন ২০২২
সকালের স্বপ্ন যদিও, আমি কোনো একজনের বাসায় গিয়েছি, মেয়েটাকে আমি চিনি, নাম মুসলিমাহ তবে স্বপ্নে তার মিল নেই, তার একটা বাচ্চা আছে ৩মাস বয়সী, এরপর কি জেনো দেখেছিলাম মনে নেই,  হুট করেই আমি কাউকে খুব মারতে শুরু করি, এতো জোরে জোরে মারছিলাম কিন্তু তার গায়ে যেনো আঘাতটা লাগছেই নাহ এমন একটা অবস্থা এতে আমি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মারতে থাকি একপর্যায়ে আমি খুব দূর্বল হয়ে যাই, আর খুব চিকন একটা লাঠি দিয়ে আমি তাকে মারি, লাঠিও ভেঙে যায়। এরপর ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাম পা প্রায় অবশ, সারাদিন এতো বেশি যন্ত্রণা ছিলো যে আমি বসে বসে সালাত পড়েছি।
যাই হোক নাহ কেনো আমি কি করবো কিচ্ছুই বুঝতেছিনা, দিন দিন আমার সার্বিক (ঈমান,আখলাক,আমল) অবনতিই হচ্ছে৷ যেহেতু আমার সাথে জ্বীন জাতীয় সমস্যা আছে এইজন্য ইস্তেখারা করেও কিচ্ছুই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা, আমাকে একটু বলুন দয়া করে আমি কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/37196 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير)
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ».
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার মনে কোনো একটি বিষয় তথা কোনো এক দিক বা কোনো একজন পাত্র সম্পর্কে যতক্ষণ না পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি ইস্তেখারা করতেই থাকবেন। আপনার স্বপ্নের মধ্যে সবকিছু মিশ্রিত রয়েছে। আপনি ঐ ছেলে যে কিলো তবে হাফেয, তাকেই চয়েজ করবেন।

সর্বোপরি আপনার জন্য উত্তম হবে,
আপনি একজন আলেমের মাধ্যমে ইস্তেখারা করিয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...