আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (8 points)
আমার আংকেল মারা গিয়েছে দুইবছর হবে দুদিন পর। বাড়িতে শুনলাম মিসকিনদের খাওয়ানো হবে ওইদিনে।
আর আমাদের বাড়িতে দেখে এসেছি মিসকিন খাওয়ানো হলেও বা কোনো বিশেষ দিনে হুজুর ডেকে আলাদা করে আবার হুজুর দু'য়া করে যেটাকে আমাদের চট্টগ্রামে ফাতেয়া দেয়া বলা হয়। ফাতেয়া দেয়ার পর সবাই খাবার খায়। যাদের যাদের খাওয়ানোর তাদের খাওয়ায়। এটা কি বিদআতের পর্যায়ে পড়ে? কারণ যেদিন আংকেল মারা গেছে সেইম ওইদিন খাওয়ানো এটাও তো বাৎসরিকের মতোই মনে হচ্ছে আমার কাছে।।
এইক্ষেত্রে করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3901 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইসলামে নির্ধারিত দুয়েকটি দিবস ব্যতীত আর কোনো দিবস নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/166

যে কোনো মুসলমানকে চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক নফল ইবাদতের সওয়াব পৌঁছানো যাবে।
এবং সওয়াব পৌছবে।
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ.এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা এভাবে তুলে ধরেন।
তিনি  বলেনঃ
ﻭﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺠﻌﻞ ﺛﻮﺍﺏ ﻋﻤﻠﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﺻﻼﺓ ﺃﻭ ﺻﻮﻣﺎ ﺃﻭ ﺻﺪﻗﺔ ﺃﻭ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﻗﺮﺁﻥ ﺃﻭ ﺫﻛﺮﺍ ﺃﻭ ﻃﻮﺍﻓﺎ ﺃﻭ ﺣﺠﺎ ﺃﻭ ﻋﻤﺮﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻋﻨﺪ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻟﻠﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
মূলকথা হলঃ
মানুষ তার আমলের সওয়াব অন্যর জন্য দিতে পারবে, সে আমল চাই নামায/রোজা/সদকা/কোরআন তেলাওয়াত/যিকির/তাওয়াফ/হজ্ব/উমরা বা অন্য কিছুই হোকনা কেন।
এটা আমাদের উলামাদের কাছে কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।(বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3565

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
মৃত মানুষের জন্য ঈসালে সওয়াবের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।তবে নির্দিষ্ট করে দিনতারিখ ঠিক করে নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতির অনুসরণ করাকে কখনো জায়েয বলা যাবে না।এটা বিদআত হবে।সুতরাং মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং সেই দিনে রুসুম রেওয়াজ হিসেবে কুরআন খতম ও শিরনি বিতরণ অবশ্যই বিদআত হবে।যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। তবে ঐ দিনে যে শিরনি তৈরী হবে সেটা যেহেতু হারাম মাল দ্বারা তৈরী হচ্ছে না,তাই সেটার ভক্ষণকে হারাম বলা যাবে না।তবে পরিত্যাগ করাই অবশ্যই তাকওয়ার দাবী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...