ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3901 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইসলামে নির্ধারিত দুয়েকটি দিবস ব্যতীত আর কোনো দিবস নেই।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/166
যে কোনো মুসলমানকে চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক নফল ইবাদতের সওয়াব পৌঁছানো যাবে।
এবং সওয়াব পৌছবে।
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ.এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা এভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেনঃ
ﻭﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺠﻌﻞ ﺛﻮﺍﺏ ﻋﻤﻠﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﺻﻼﺓ ﺃﻭ ﺻﻮﻣﺎ ﺃﻭ ﺻﺪﻗﺔ ﺃﻭ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﻗﺮﺁﻥ ﺃﻭ ﺫﻛﺮﺍ ﺃﻭ ﻃﻮﺍﻓﺎ ﺃﻭ ﺣﺠﺎ ﺃﻭ ﻋﻤﺮﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻋﻨﺪ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻟﻠﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
মূলকথা হলঃ
মানুষ তার আমলের সওয়াব অন্যর জন্য দিতে পারবে, সে আমল চাই নামায/রোজা/সদকা/কোরআন তেলাওয়াত/যিকির/তাওয়াফ/হজ্ব/উমরা বা অন্য কিছুই হোকনা কেন।
এটা আমাদের উলামাদের কাছে কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।(বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/3565
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
মৃত মানুষের জন্য ঈসালে সওয়াবের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।তবে নির্দিষ্ট করে দিনতারিখ ঠিক করে নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতির অনুসরণ করাকে কখনো জায়েয বলা যাবে না।এটা বিদআত হবে।সুতরাং মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং সেই দিনে রুসুম রেওয়াজ হিসেবে কুরআন খতম ও শিরনি বিতরণ অবশ্যই বিদআত হবে।যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। তবে ঐ দিনে যে শিরনি তৈরী হবে সেটা যেহেতু হারাম মাল দ্বারা তৈরী হচ্ছে না,তাই সেটার ভক্ষণকে হারাম বলা যাবে না।তবে পরিত্যাগ করাই অবশ্যই তাকওয়ার দাবী।