আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
303 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম জনাব,
আমার কয়েকটি জিজ্ঞেসা ছিল।
১| নবী করীম (স:) বলেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া দৈনিক ১০০০ বার পাঠ করে আল্লাহ চাহে তো সে অল্প দিনেই ধনী হয়ে যেতে পারে।
জুমার নামাজের পর যদি ৭০ বার পাঠ করে, তবে সপ্তাহ দিনেই আল্লাহ চাহে তো তার আর্থিক অবস্থার পরির্বতন হতে পারে।
”আল্লাহুম্মাকফীনী বি-হালালিকা আন-হারামিকা ওয়াআগনিণী বি-ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক” (মিরকাত),

এই হাদীসটার মানটা কেমন আমি জানতে চাইছি।এটা কি জাল হাদীস?

২|  জনাব হাদীসটিতে বর্ণিত দুয়াটির একটু বাংলা অনুবাদ করে দিন,যাতে বুঝতে সহায়তা হয়।

৩| জনাব ধনী হওয়ার এমন আরো ৫টি আমল আমাকে জানান দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সূরা ওয়াকেয়া সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)

সূরা ওয়াক্বেয়ার ফযিলত সম্পন্ন হাদীস সহীহ না যঈফ? এ সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের নিকট মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
মুহাদ্দিস মুনাওয়ী রাহ বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻤﻨﺎﻭﻱ ﻓﻲ ﻓﻴﺾ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ:
ﻣﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ - ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ - ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪﺍً . ﻭﻫﻮ ﺣﺪﻳﺚ ﺿﻌﻴﻒ،
ইমাম বায়হাক্বী যে হাদীস ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণনা করেছেন,সেটা যঈফ।(ফয়যুল ক্বাদির)

সৌদিআরবের 'হাই'আতু কিবারিল উলামা' এর সদস্য সালেহ বিন ফাওযান লিখেন........
সূরা ওয়াক্বেয়া এর ফযিলত সম্পর্কে বিশুদ্ধ হাদীস রয়েছে,এ বিষয়ে তাফসিরে ইবনে ক্বাসির দেখতে পারেন,(তাফসিরে ইবনে কাসির-৪/৩৮৩)
ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস রাযি এর সূত্রে সহীহ সনদে বর্ণনা করেন যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,সূরায়ে ওয়াক্বেয়া হল ধনরত্নের সূরা।সুতরাং তোমরা তা পাঠ করো এবং তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দাও।
(ফাতহুল কাদ্বীর-৫/১৪৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/459

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ধনী হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো আ'মল শরীয়তে নাই।কুরআন হাদীসে এমন কোনো আ'মলের কথা আসেনি।হ্যা, অভাব অনটন থেকে নিজেকে বাঁচাতে কুরআন হাদীসে কিছু আ'মল বর্ণিত হয়েছে।

(১)
'আল্লাহুম্মাকফীনী বি-হালালিকা আন-হারামিকা ওয়াআগনুণি বি-ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক'
(হে আল্লাহ! আমাকে হারামের পরিবর্তে হালাল দ্বারা রিযিক দাও।এবং আপনার অনুগ্রহে আপনি ব্যতিত সবার থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী বানাও)

উক্ত দু'আ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তবে আপনি যেভাবে উল্লেখ করেছেন, সেভাবে নির্দিষ্ট সংখ্যার সাথে কোথাও আসেনি। অর্থাৎ দৈনিক ১০০০ বার পাঠ করলে অল্প দিনেই ধনী হয়ে যাওয়া মর্মে কোথাও আসেনি। হ্যা, এই দু'আ পাঠ করলে আল্লাহ অবশ্যই মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষী বানাবেন।

(২)
উপরে বর্ণিত হয়েছে।

(৩)
ধনী হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো আ'মল কুরআন সুন্নাহে আসেনি।হ্যা, হারাম থেকে বাঁচতে এবং যথেষ্ট পরিমাণ হালাল রিযিক উপার্জন করতে আপনি সূরায়ে ওয়াকিয়া এবং উপরোক্ত দু'আ পড়তে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...