আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
299 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আমরা তিনবোন, আমাদের কোন ভাই নেই এবং বাবা মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে। দুই বছর আগে আমার বিয়ের পর, আমি আমার হাসবেন্ডর সাথে কক্সবাজার থাকি। আমার মা এবং দুইবোন (প্রাপ্তবয়স্ক) ঢাকায় থাকে। আমি ঢাকায় যাওয়ার সু্যোগ খুব কম পাই। আমার মা এবং বোনেরা যদি আমার কাছে এসে মাঝে মাঝে থাকে তাহলে আমি আমার মায়ের একটু সেবা করার সুযোগ পাবো। এবং বোনদের সাথেও কিছুটা সময় কাটাতে পারবো।
বি. দ্র. আমার মামা, চাচা যারা আছেন উনাদের পক্ষে কক্সবাজারে আমার কাছে আসার সুযোগ সাধারণত হয় না,  তাই উনাদের পক্ষে মা এবং বোনদের নিয়ে আসা সম্ভব হয় উঠেনা। তাই পরিবারের সবাই একসাথে থাকার সুযোগও হয়না।
এমন পরিস্থিতিতে, আমার মাকে এবং বোনদের কে আমার কাছে কিছুদিনের জন্য নিয়ে আসার উপায় কি হতে পারে?

যেহেতু,  আমার মা এবং বোনদের সাথে ভ্রমণ করার জন্য তেমন কোন মাহরাম নেই সেহেতু, যথার্থ পর্দার সাথে এবং ফিতনা থেকে দূরে থেকে আমার মা অভিভাবক হয়ে আমার বোনদের সাথে করে নিয়ে আসতে পারবে আমার বাড়িতে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/212 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে  নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)

https://www.ifatwa.info/572 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, মহিলাদের সর্বোত্তম পর্দা হচ্ছে ঘরের চার দেয়ালের ভিতর অবস্থান করা।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত কাছাকাছি বাজারে যেতে পারবে।অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দাকে রক্ষা করে যেতে হবে। যদি কারো কোনো মাহরাম না থাকে, তাহলে তিনি নেককার মহিলাদের সাথে সফর করার চেষ্টা করবেন। উনি/উনারা দিনের প্রথমাংশে সফর শুরু করবেন,যাতে করে সন্ধ্যার পূর্বেই গন্তব্যস্থলে পৌছে যেতে পারেন। সর্বপ্রথম তিনি নেককারদের জামাতের অনুসন্ধান করবেন, না পেলে অন্তত পরিবেশ নিরাপদ দেখে সফর শুরু করার চেষ্টা করবেন। ফিতনার আশংকা থাকলে কিন্তু উনি/উনারা কোনো সফর করতে পারবেন না।
মোটকথা, আপনার বোন/মা মাহরাম ব্যতিত আপনার ওখানে যেতে পারবেন যদি পরিবেশ নিরাপদ থাকে,রাস্তা নিরাপদ থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...