জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবু সাঈদ ইবনে মুআল্লা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.)-এর কয়েকজন সাহাবি আরবের এক গোত্রে এলেন। গোত্রের লোকেরা তাদের কোনো মেহমানদারি করল না। হঠাৎ ওই গোত্রের নেতাকে সাপে কাটে। তখন তারা এসে বলল, আপনাদের কাছে কি কোনো ওষুধ আছে?
তারা উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আছে। তবে তোমাদের আমাদের মেহমানদারি করতে হবে। আমরা প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত। তারা মেহমানদারি করতে রাজি হল। এ ছাড়া আমরা তাদের কাছে একপাল বকরি চাইলাম। তখন একজন সাহাবি উম্মুল কোরআন অর্থাৎ সূরা ফাতেহা পড়ে মুখে থুথু জমা করে সে ব্যক্তির ক্ষতে মেখে দিলেন। ফলে বিষ নেমে গেল এবং সে সুস্থ হয়ে গেল।
সাহাবিরা খাওয়া-দাওয়া করে নবী করিম (সা.)-এর কাছে বকরিসহ ফিরে এলেন। তারা রাসূল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন তাদের এ ধরনের কাজ ঠিক হল কি না। নবী (সা.) শুনে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, তোমরা কীভাবে জানলে যে, সূরা ফাতেহায় শেফা রয়েছে। ঠিক আছে বকরিগুলো নিয়ে যাও এবং তাতে আমার জন্যও একটি অংশ রেখে দিও।’ (বুখারি, হাদিস ৫০০৬।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লিখিত রোগ থেকে মুক্তির জন্য তিনবার সূরা ফাতেহা পড়ে মুখে থুথু জমা করে হাতের সেই ক্ষতে মেখে দিবেন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্রুত সুস্থ করবেন বলে আশা রাখি।
সুরা ফাতেহা পড়ার আগে কয়েকবার ইস্তেগফার ও দরুদ পাঠ করতে পারেন।
কোনো বুযুর্গ ব্যাক্তির মাধ্যমেও এই চিকিৎসা আপনি নিতে পারেন।
পাশাপাশি ভালো যোগ্যতা সম্পূর্ণ দ্বীনদার কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে থাকবেন।দোয়া করছি যে, রব্বুল আলামীন আপনাকে পূর্ণ সুস্থতার নিয়ামত দান করুন,আমিন।