بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً
فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা
(রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে
না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের
নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
কুরবানি
দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব? এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ
الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ
ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর
ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)
★কুরবানির নেসাব পৃথক।এবং যাকাতের নেসাব
পৃথক। কুরবানি ওয়াজিব হলেই যে যাকাত দিতে হবে,বিষয়টা মূলত এমন নয়। বরং যাকাত ওয়াজিব হলেই কুরবানিও ওয়াজিব
হবে। কেননা যাকাতের জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত।কিন্তু কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য
ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত নয়।
বিস্তারিত
জানুনঃ https://www.ifatwa.info/1688
★ঋনগ্রস্ত ব্যাক্তির যদি ঋনের টাকা ব্যাতিত
নেসাব পরিমান সম্পদ না থাকে,তাহলে তার উপরে কুরবানী আদায় করা ওয়াজিব হবেনা। তবে ব্যবসায়ী ঋণ হলে কুরবানী
ওয়াজিব হবে।
বিস্তারিত
জানুনঃ
https://ifatwa.info/14383/
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি আপনি
আপনার মাকে উক্ত টাকার মালিক বানিয়ে দেন তাহলে তার উপর যাকাত ও কুরবানী উভয়টিই ওয়াজিব
হবে। যদিও তার সেই টাকা দিয়ে আপনার বাবার ঋন পরিশোধের নিয়ত আছে। কারণ প্রত্যেকের
নেসাব পৃথক ও ভিন্ন। আপনার বাবা ঋনগ্রস্ত হলেও আপনার মা
কিন্তু ঋনগ্রস্ত নয়।
কুরবানী
আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষনীয় বিষয় হলো, ৩০/৪০ হাজার টাকা দিয়ে কুরবনী দেওয়া জরূরী নয়।
স্বল্প মূল্যের একটি ছাগল দিয়েও কুরবানী দেওয়া যায়।