আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
edited by


হুজুর কোন কসম করি নি। অাল্লাহর নাম নিয়ে বলি নি।।।।।।।।  ফলে কি কাফফারা দিতে হবে

২ ওয়াসওয়াস এর ফলে এই সমস্যা অামার হতে পারে কিন্তু কোন ভাবে অাল্লাহর নাম নিয়ে হয় নি কখন। তবুও কি কসম এর কাফফারা দিতে হবে
৩ কসমের কাফফার দিতে না পারলে এসবের তবে কি ঈমান থাকবে।

৪ কেউ যদি এইটা বলে অাল্লাহ অামি এইটা (যে কোন একটি কাজ) করব না।   কিন্তু কসম এর নিয়তে বা কসম বলে নি তবেও কি কসম হয়।

কারণ অনেকেই বলে থাকি যেমন  অাল্লাহর নাম নিয়ে নানা কথা অাল্লাহ এইটা করব ওইটা করব না কিন্তু কখনও কসম বলি না অাল্লাহর নামের সাথে কসম বলি না (কসম এর নিয়ত ও থাকে না)


হুজুর অামি দুই অাইডি দিয়ে অাপনাদের এই খানে প্রশ্ন করতাম কিন্তু অামি তা বলায় এবং অাইডি টি বন্ধ করতে বলায় অাপনারা তা বন্ধ করেছেন। কিন্তু হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াস তে অাকান্ত হয়ে অামি অাবার অারো একটি অাইডি খুলে প্রশ্ন করি একটি।
যে প্রশ্নটি অামার কাছে গুরত্বপূর্ণ  ছিল।
এর জন্য অামি লজ্জিত ও ক্ষমা চাই। অার কোন দিন অামি ২ টা অাইডি খুলব না ওয়াদা করলাম।
এই শেষ বারের মত অামাকে মাফ করে দেন। অামি সত্য বলছি অামি অার কখন এহেন ভুল করব না।
হুজুর অামি অামাকে সামলাতে পারছি না। তাই শেষ বার ক্ষমা করে দিন। অার অাইডিটি বন্ধ না করলে অামি অাবার হয়ত প্রশ্ন করে ফেলতি পারি যা অামি কোন ভাবেই চাই না।

হুজুর অামার প্রতি রাগ রাখবেন না দয়া করে। সমাজ ইসলাম থেকে অনেক দূরে তাই নানা কথার জন্য এইসব হয়েছে। মাফ করে দিয়ে Imo এর হটলাইনে কথা বলেছি ও ক্ষমা চেয়েছি। অাপনার কাছে ও ক্ষমা চাই। অার প্রশ্নটির উপর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হটলাইনে অনুরোধ করেছি। ক্ষমা করে দিবেন দয়া করে
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/9671/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
কসম হবে কেবল আল্লাহর নামে অথবা তার কোন গুনের নাম নিয়ে অথবা  কুরআনের কসম করে।
অন্যথায় তাহা জায়েজ নয়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ " . قَالَ عُمَرُ فَوَاللَّهِ مَا حَلَفْتُ بِهَا مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا ذَاكِرًا وَلاَ آثِرًا .

আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... উমার ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। উমার (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি যখন থেকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ থেকে নিষেধ করতে শুনেছি, তখন থেকে আর কখনও সে নামে কসম করিনি, নিজের পক্ষ থেকেও নয়, আর অপরের উদ্ধৃতি দিয়েও নয়। (বুখারী ৩৮৩৬,মুসলিম ১৬৪৬,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১০৮, ইসলামিক সেন্টার ৪১০৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  কাফফারা দিতে হবেনা।

(০২)
এতে কসম ভেঙ্গে ফেললেও কাফফারা দিতে হবেনা। 

(০৩)
হ্যাঁ ঈমান থাকবে।

(০৪)
এতে কসম হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 133 views
...