আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
আসসালামুআলাইকুম।

বাথরুম এর ফ্লোর এ বালতি রেখে যদি ঝর্ণায় গোসল করি, ঝর্নার নিচে শরীরে লেগে থাকা নাপাকী ইত্যাদি তো ধোয়া হয়। এখন কি বালতির নিচের অংশ নাপাক হয়ে যাবে? নাকি যেহেতু ঝর্নার পানিতে নাপাকী ধোয়ার পর ও বেশ কিছু সময় গা, শরীর ধুয়ে নেওয়া হয় বলে ধরে নিবো যে নাপাকী প্রবাহিত হয়ে ড্রেন এ চলে গেছে। দয়া করে জানাবেন।

1. বালতি এর নিচের অংশ কি পাক ধরবো?

2. যদি নাপাক হয় ওই অবস্থায় রুম এর মেঝেতে রাখলে কি মেঝে নাপাক হয়ে গেছে? এর মাঝে অনেকদিন চলে গেছে হোস্টেল এর খালা আমার রুম বেশ কয়বার মুছছেন কোথায় কোথায় নাপাকী ছড়িয়েছে আমি কিছুই বলতে পারছিনা। কি করনীয়?
3. বালতি বাথরুম ফ্লোর এ বেশ দূরেই রাখি সন্দেহ এড়ানোর জন্য যেহেতু আমার ওয়াসওয়াসা মারাত্মক। তবুও হয়তো পানি প্রবাহিত হওয়ার সময় লেগে যায় আমি জানিনা। যেহেতু বলটির ভিতরের অংশে ধোয়া কাপড় রাখি তাই পুরো বালতি না ধুয়ে শুধু নিচের অংশ ধুলে( যতটুকু সম্ভব পুরো বালতি উল্টো না করে) তাহলে কি পবিত্র হবে?
4. হায়েজ শুরুর আগে আগে ওয়াসওয়াসা এর সমস্যা প্রচুর বেড়ে যায় অন্য সময় এত থাকেনা। এর কি কোন কারণ আছে?

আমি এই মাস এ ওয়াসওয়াসা এ ভুগে অনেক বেশি প্রশ্ন করে ফেলেছি আপনাদের ওয়েবসাইট এ। আমাকে মাফ করবেন।
আল্লাহ্ আপনাদের ধর্য ও প্রচেষ্টা গুলো কবুল করুন।
by (1 point)
ভাই পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত ভাল কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরাণাপন্ন হোন। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে।
অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (559,350 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যেহেতু ঝর্নার পানিতে শরীরের নাপাকী ধোয়ার পর ও বেশ কিছু সময়  ঝর্না চালু রেখে সেই পানিতে
শরীর ধুয়ে নেওয়া হয়,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ধরে নিবেন যে নাপাকী প্রবাহিত হয়ে ড্রেন এ চলে গেছে।

বালতির নিচের অংশকে পাক ধরবেন।

(০২)
যেহেতু বালতি পাকই রয়েছে,তাই এতে মেঝে নাপাক হয়নি।

(০৩)
হ্যাঁ পবিত্র হবে।

(০৪)
সময়টিতে আপনি হয়তোবা নাপাকি নিয়ে বেশি টেনশনে থাকেন,তাই এই সমস্যা হচ্ছে।

অতিরিক্ত টেনশনের প্রয়োজনীয়তা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...