বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ঈমান চলে যাওয়ার অন্যতম কারন হলোঃ
الشرك في عبادة الله
তথা আল্লাহর ইবাদতে শরীক বা অংশীদার স্থাপন করা।
ইবাদত পাওয়ার একমাত্র উপযুক্ত সত্তা আল্লাহ তা‘আলাকে না মেনে তাঁর সাথে আরো কাউকে যোগ্য বলে মনে করা।
অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلاَ تَجْعَلْ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ فَتُلْقَى فِيْ جَهَنَّمَ مَلُوْمًا مَدْحُوْرًا
‘আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য স্থির কর না। তাহ’লে নিন্দিত ও (আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে) বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে’ (বানী ইসরাঈল ৩৯)।
★যদি কোন মুসলমান আল্লাহর নবী (ছাঃ)-এর আনিত বিধানের কোন অংশকে অপছন্দ করে তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে, যদিও সে ঐ বিষয়ে আমল করে।
এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَتَعْسًا لَهُمْ وَأَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ، ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوْا مَا أَنْزَلَ اللهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ
‘আর যারা কাফির তাদের জন্য রয়েছে দুর্গতি এবং তিনি তাদের কর্ম বিনষ্ট করে দিবেন। এটা এজন্য যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তারা তা পছন্দ করে না। অতএব তাদের কর্মসমূহ আল্লাহ ব্যর্থ করে দিবেন’ (মুহাম্মাদ ৮-৯)।
★যদি কোন মুসলিম মুহাম্মাদ (ছাঃ) আনিত ধর্মের কোন বিষয়ে অথবা ধর্মীয় ছওয়াব বা শাস্তির ব্যাপারে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তবে সেও কাফির হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ
‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)।
★যে ব্যক্তি মনে করে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর শরী‘আত ব্যতীত অন্য কোন ধর্মে জীবন পরিচালনা করলেও জান্নাত পাওয়া যাবে বা আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া সম্ভব, সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ বলেন,
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلاَمِ دِيْنًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মকে গ্রহণ করবে তার কোন আমল গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে ইমরান ৮৫)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার ইতিপূর্বের প্রশ্ন ( লিখিত ও মৌখিক ও ইনবক্সে দেয়া মেসেজে করা প্রশ্ন) এর জবাবে এ কথা অনেকবার বুঝানো হয়েছে যে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
এভাবে বারবার আপনাকে ঈমান আনতে হবেনা।
আপনাকে ঈমানই আনতে হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে নিজের কাজে মনোযোগী হোন।
★প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো কাজের দরুন আপনার ঈমান চলে যায়নি।
★আপনাকে কালেমা পড়ে ঈমান আনতে হবেনা।
কসম করে ভেঙ্গে ফেলার কারনে আপনি কাফফারা আদায় করবেন।
একই ধরনের যতগুলি কসম করে ভেঙ্গে ফেলেছেন,সব গুলোর ব্যাপারে একটি কাফফারাই যথেষ্ট।
আরো জানতে আপনার জেলার বা নিকটতম জেলার কোনো বড় কওমি মাদ্রাসার ইফতা বিভাগে স্বশরীরে গিয়ে কথা বলার পরামর্শ রইলো।