ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নামাজ শেষে দুইবার সালাম বলা ওয়াজিব।
ডানে বামে চেহারা ফিরানো সুন্নাত।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ خَدِّهِ " السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ " . - صحيح
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ বলে ডান দিকে এবং ‘‘আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ বলে বাম দিকে সালাম ফিরাতেন। এ সময় তাঁর গালের শুভ্রতা দেখা যেতো।
সহীহ : মুসলিম,আবু দাউদ ৯৯৬.তিরমিযী (অধ্যায় : আবওয়াবুস সলাত, অনুঃ সলাতের সালাম ফিরানো সম্পর্কে, হাঃ ২৯৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ), নাসায়ী (অধ্যায় : সাহু, অনুঃ ডান দিকে সালাম ফিরানো, হাঃ ১৩২৪), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ সালাম ফিরানো, হাঃ ৯১৪), আহমাদ (১/৩৯০, ৪০৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(২.৩)
আপনারা নিম্নোক্ত দোয়া করতে পারেনঃ-
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ
অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ – وَ فَضَّلَنِىْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَا
অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে বিপদাক্রান্ত করেছেন; তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তিনি তার মাখলুক থেকে মাখলুকের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ তখন তাকে এ মুসিবত কখনো স্পর্শ করবে না।’ (তিরমিজি)
لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّى كَنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (তিরমিজি)
حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْل – نِعْمَ الْمَوْلِى وَ نِعْمَ النَّصِيْر
অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কাজ সম্পাদনকারী। আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।’
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله
অর্থ : ‘আল্লাহর সাহায্য ব্যতিত কোনো উপায় নেই আর কোনো ক্ষমতাও নেই।’
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْه
'অর্থ : ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ، وَرَبُّ الْأَرْضِ، وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
অর্থ : ‘আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ ব্যতিত কোনো সত্য ইলাহ বা উপাস্য নেই, তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি আসমান-জমিনের এবং মহান আরশের মালিক।’ (বুখারি)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِن ضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ ((বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি ও মিশকাত)
(০৪)
আপনি নামাজে তিলাওয়াত,রুকু সেজদার তাসবিহ,তাশাহুদ,দরুদ শরীফ,দোয়ায়ে মাছুরা ইত্যাদি এমম ভাবে পড়বেন,যাতে
নিজের কানে আওয়াজ আসে।
নিজের কানে হালকা আওয়াজ আসার মতো জিহবা নাড়িয়ে আওয়াজ করবেন।
এই নামাজকে জীবনের শেষ নামাজ বলে মনে করবেন।
আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন,এমন অনুভূতি ভিতরে নিয়ে আসবেন।
(০৫)
নাপাকির ব্যপারে নিশ্চিত না হলে তাহা পাক করতে হবেনা।
(০৬)
না,এতে সাহু সেজদার বিধান নেই।
(০৭)
সে প্রবল ধারনার উপর আমল করবে।
যদি তার প্রবল ধারনা হয় যে বায়ু বের হয়েছে,তাহলে নতুন করে অযু করা আবশ্যক।
আর যদি তার প্রবল ধারনা হয় যে তার বায়ু বের হয়নি,তাহলে অযু করা আবশ্যক নয়।
(০৮)
এতে আপনিও অনুরুপ ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ ।
তবে সমপরিমাণ না বেশি না কম,সেটি আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করবেন।