ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3446 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জামানায় কানে ছিদ্র করা তথা পিয়ার্সিং এর প্রথা ছিল।আরবদের রীতিনীতির এর মধ্যে এটাও ছিলো যে, তাদের মহিলাগণ কানে ছিদ্র করে তারা তথায় গহনা পরিধান করত।এখনপর্যন্তও এ রীতি আরবদের মধ্যে অবশিষ্ট আছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এ সব দেখে কোনো প্রকার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন নি।
যেহেতু রাসূলুল্লাহ এর মৌনসম্মতি তাতে রয়েছে। তাই ফুকাহায়ে কিরামগণ কান ছিদ্রকে তাগাইয়ুরে খালকিল্লাহ হওয়ার পরও সেটাকে জায়েয মনে করেন।(তাগাইয়ুরে খালকিল্লাহ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-৪৬৬)নাকের ছিদ্র নিয়ে কিছুটা দ্বিমত থাকলেও শেষপর্যন্ত কানের উপর কিয়াস করে এটাকেও ফুকাহায়ে কিরামগণ জায়েয ফাতাওয়া দিয়েছেন।এগুলো শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য বিস্তারিত দেখুন........অাহসানুল ফাতাওয়া-৮/১৯২
নাকে পিয়ার্সিং বা ছিদ্রকরণ জায়েয কি না?এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।কিছু সংখ্যক তো নাজায়েযের ফাতাওয়া দিয়েছেন। আর কিছু সংখ্যক রুখসতের ফাতাওয়া দিয়েছেন।সুতরাং তা বাধ্যতামূলক হওয়ার প্রশ্নই আসে না।বরং বাধ্যতামূলক মনে করা বিদ'আত। বিয়ের সময়ে পিয়ার্সিং কে জরুরী মনে করা এবং এবং স্বামীর মৃত্যুতে নাকফুলকে খুলে ফেলার রেওয়াজ,মেয়েদের জন্য মঙ্গলজনক
কিংবা মেয়েদের নিজেদের জন্য নিরাপত্তার কিংবা পুরুষ খারাপ নজরে যাতে না পড়ে, সেই নাক ফোড়ানো,
এসবই বিদ'আতের অন্তর্ভুক্ত।আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিদ'আত মুক্ত আ'মল করার তাওফিক দান করুক।আমীন।