আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,842 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by

হুজুর একটি বইয়ে পড়েছি, চিংড়ি মাছ খাওয়া নাকি নাজায়েয?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চিংড়ি সম্পর্কে চার মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের মধ্য মতবিরোধ রয়েছে। শা'ফী, মালিকী,ও হাম্বলী মাযহাবের উলাময়ে কেরামগণ চিংড়িকে জায়েয বলে মনে করেন।
চিংড়ি নিয়ে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কেরামদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ মাকরুহে তাহরীমি মনে বলেন।আবার কেউ মাকরুহে তানযিহি বলেন। অর্থাৎ তাহরীমি মনে না করলেও না খাওয়াকে উত্তম ও সচেতন পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করেন। (তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম-৩/৫১৩-৫১৪,আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৩৯১,কিতাবুন নাওয়াযিল-১৪/৪১৩,কেফায়াতুল মুফতী-৯/১২৪,
ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১০৩)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত কিতাব অধ্যয়ন করলে বুঝা যায় যে, চিংড়িতে মাছের সংজ্ঞা আরোপিত হচ্ছে কি---না? এ সম্পর্কে প্রচন্ড মতবিরোধ রয়েছে।যারা চিংড়িকে মাছ বলতে চান না, তাদের বক্তব্য বর্তমান প্রাণীবিজ্ঞানীদের সংজ্ঞার অনুকূলেই। কেননা বর্তমান প্রাণীবিজ্ঞানীরা চিংড়িকে মাছ বলতে একেবারেই নারাজ। অন্যদিকে পূর্ববর্তী  কিছুসংখ্যক বিজ্ঞানীরা জোরগলায় চিংড়িকে মাছ বলে চিৎকার দেন।

তাদের ঐ মতবিরোধের কারণেই ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মূলত মতবিরোধ হয়েছে। যেহেতু মতবিরোধ হুকুমের মধ্যে শীতিলতা নিয়ে আসে, বিধায় বর্তমানে চিংড়ি খাওয়াকে মাকরুহে তাহরীমি বলা যাবে না। বরং মাকরুহে তানযিহি বলতে হবে। তথা শরয়ী অপছন্দনীয়তার সাথে খাওয়া যাবে। তবে সর্বোপরি এত্থেকে বেছে থাকাই হল তাকওয়া ও সচেতনতার স্পষ্ট দাবী। অাল্লাহ-ই ভালো জানেন।

عن ابن عمر قال: قال رسول الله -صلي الله عليه وسلم -: "أُحلَّت لنا مَيْتَتَان ودَمان, فأما الميتتان فالْحُوت والجراد، وأما الدمان فالكَبِد والطِّحال".

الدر المختار: (306/6، ط: دار الفكر)
(ولا) يحل (حيوان مائي إلا السمك) الذي مات بآفة ولو متولدا في ماء نجس ولو طافية مجروحة وهبانية (غير الطافي) على وجه الماء الذي مات حتف

بدائع الصنائع: (35/5، ط: دار الکتب العلمیۃ)
أما الذي يعيش في البحر فجميع ما في البحر من الحيوان محرم الأكل إلا السمك خاصة فإنه يحل أكله إلا ما طفا منه

تکملۃ فتح الملھم: (315/3، ط: مکتبۃ دار العلوم کراتشی)
لكن خبراء علم الحيوان اليوم لا يعتبرونه سمكا ويذكرونه کوع مستقل ، ويقولون أنه من أسرة السرطان دون السمك ، وتعريف السمك عند علماء الحيوان ، على ما ذكر في دائرة المعارف البريطانية (٣٠٥/٩،ط: ۱۹۵۰م) : هو حيوان ذو عمود فقرى، يعيش في الماء ويسبح بعواماته ، ويتنفس بغلصمته".

فتوی دارالعلوم دیو بند : 617/ م= 611/ م
جھینگا کھانا جائز ہے یا نہیں؟ اس کا مدار اس امر پر ہے کہ جھینگا مچھلی ہے یا نہیں؟ اس لیے کہ دریائی جانوروں میں صرف مچھلی ہی حلال ہے، اگر جھینگے کے بارے میں مچھلی ہونا محقق ہوجائے تو اس کا کھانا جائز ہوگا ورنہ نہیں۔ ماہرین لغت اس کو مچھلی ہی کی ایک قسم مانتے ہیں جب کہ ماہرین حیوانات اس کو مچھلی شمار نہیں کرتے بلکہ کیکڑے کے خاندان کا ایک فرد قرار دیتے ہیں، اور اسی بنا پر اس کے حکم شرعی کے بارے میں بھی اختلاف پایا جاتا ہے، اس لیے اس کے جواز و عدم جواز سے متعلق کوئی دو ٹوک بات نہیں کہی جاسکتی ہے اور نہ اس مسئلے میں تشدد کی راہ اپنانا مناسب ہے اس لیے کہ یہ ایک اجتہادی مسئلہ ہے البتہ اس کا نہ کھانا زیادہ مناسب اور زیادہ احتیاط پر مبنی ہے۔

فتوی نمبر : 144111200741
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
جھینگےکی حلت اورحرمت کی بنیاد اس بات پرہےکہ یہ مچھلی ہےیا نہیں،  جولوگ اس کو مچھلی قراردیتے ہیں وہ اس کی حلت کے قائل ہیں اورجولوگ اس کو مچھلی قرارنہیں دیتے وہ اس کی حرمت کے قائل ہیں۔ہمارے نزدیک جھینگا مچھلی کی قسم ہے اور اس کا  کھاناحلال ہے۔  تفصیل کے لیے ""جواھر الفتاوی" جلد 3  ،( مولفہ :مفتی عبد السلام چاٹگامی صاحب ) ملاحظہ فرمائیں۔
جامعہ علوم اسلامیہ علامہ بنوری ٹاؤن کے دارالافتاء کی  تحقیق کے مطابق چوں کہ یہ مچھلی کی اقسام میں سے ہے، اس لیے دار الافتاء سے اس کے جواز کا فتویٰ دیا جاتاہے۔  نیز حکیم الامت حضرت مولانا اشرف علی تھانوی رحمہ اللہ اور علامہ عبدالحی لکھنوی رحمہ اللہ کی تحقیقات اور فتاویٰ کے مطابق بھی جھینگا مچھلی کی قسم ہے، حیاۃ الحیوان میں بھی علامہ دمیری نے اسے مچھلی کی قسم قرار دیا ہے۔ ابتدا میں حضرت مولانا مفتی ولی حسن صاحب رحمہ اللہ  کی رائے بھی یہی تھی، بعد میں آپ کراہت کے قائل ہوگئے تھے، اور علاج وغیرہ کے علاوہ کھانے سے منع فرماتے تھے، لیکن ان کے دور میں بھی جامعہ کے دار الافتاء سے دیگر رفقاء کے دستخط سے جھینگے کے جواز کا ہی فتویٰ جاری ہوتا رہاہے۔
باقی جھینگا کھانا ضروری بھی نہیں ہے، اگر آپ کو جھینگے سے طبعی کراہت ہوتی ہے، یا چوں کہ بعض علماء اس کو مچھلی نہیں سمجھتے؛ اس لیے ان کے قول کے مطابق آپ جھینگا کھانے سے احتیاط کرتے  ہیں تو شرعاً اس میں کوئی مضائقہ نہیں ہے۔ فقط واللہ اعلم


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...