আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
কোনো স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়েছে।এরপর একদিন তার কাছে অন্য একজন মহিলা জিজ্ঞেস করে যে মহিলারা যে ডিভোর্স দেয় এতে কি তালাক হয়।তখন সেই স্ত্রী উত্তরে অনেকটা এরকম বলে যে যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয় তাহলে সে নিজের উপর তালাক নিতে পারবে।অর্থাৎ সে স্ত্রী অন্য স্বামী স্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দেয়া শুরু করে কিন্তু মনে মনে ভাবে যে নিজের উপর তালাক নিলাম এটা বললে নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে। তাই সে ঐ কথাটা বলতে চায়না তবুও সে ঐ ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শেষে বলে ফেলে আমি নিজের উপর তালাক নিলাম ।এখন তার সন্দেহ লাগছে যে সে যখন এই কথাটা(আমি নিজের উপর তা** নিলাম) বলেছিলো তখন এটা বলার আগে সে এরকম বলে নিয়েছিলো কিনা সেই স্ত্রী(এখানে উদাহরণের স্ত্রী) বলবে বা তাকে বলতে হবে যে আমি নিজের উপর তালা** নিলাম।সে তখন একটু বেখেয়ালে ছিলো।

১.শায়খ মনে মনে ঐ স্ত্রীর নিজের তালাক হয়ে যাওয়ার ভয় নিয়ে অন্য ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কারণে কি তার নিজের উপর তালাক হয়ে যাবে??

২.সে উত্তরে যে কথাটা বলছে আমি নিজের উপর তালা** নিলাম এটা বলার আগে সে স্ত্রী বলবে বা তাকে বলতে হবে এটুকু উল্লেখ করছে কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ থাকার কারনে কি তার উপর তালাক পতিত হবে? তখন সে বেখেয়াল হয়ে গেছিলো তাই কিভাবে বলছে মনে পড়ছে না।

৩.উক্ত স্ত্রী যদি অন্য মহিলার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় উদাহরণের স্ত্রীর কথা (সে স্ত্রী বলবে বা তাকে বলতে হবে) উল্লেখ না করে ডিরেক্ট আমি নিজের উপর তালা** নিলাম কথাটা বলে ফেলে তাহলে কি ঐ স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে?

৪.উক্ত ঘটনাটা আমি লেখার কারণে কি আমার নিজের উপর তালাক পতিত হবে??

ধরুন ৬/৭ মাস আগে কোন স্বামী তার স্ত্রীকে বলেছিলো মনে কর তোমাকে তালাক বা ডিভোর্স দিলাম।ঐসময় স্ত্রী শায়খদের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলো মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম এটা বললে তালাক হবে কিনা?? তখন উত্তর ও সে পেয়েছে সমস্যা হয়নি।তখন সেই মহিলা মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলেই প্রশ্ন করেছিলো কোথাও আবার মনে করো বা ধরো লিখে প্রশ্ন করছে।মনে করো বলেছিলো কিনা তখন তার এটা নিয়ে তেমন সন্দেহ হয়নি তবে মনে কর বা ধরো ২ টা নিয়ে সন্দেহ ছিলো কিছুটা।এখন ৬/৭ মাস পর তার সন্দেহ হচ্ছে যে তার স্বামী আমি তোমাকে তালাক দিলাম এটা বলার আগে সে মনে করো কথাটা বলে নিয়েছিলো কিনা??।

৫.৬/৭ মাস পর এখন মনে করো কথাটা নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ঐ কথা বলার কারণে কি কোনো সমস্যা হবে তালাক হবে?? আগে তো এতটা সন্দেহ হয়নি।

৬.শায়খ এখন এটাও ঐ স্ত্রীর এটাও সন্দেহ হচ্ছে যে ৬/৭ মাস আগে (মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম এখানে) মনে করো কথাটা বলা নিয়ে তার সন্দেহ হয়েছিলো কিনা??এমতাবস্থায় ও তালাক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে??কারন তখন মনে কর বা ধরো নিয়ে কিছুটা হয়তো সন্দেহ ছিলো।তবে ঐ সময় এটা শিওর ছিলো মনে করো বা ধরো ২ টার ১ টা তো বলছেই।তাও কি বিবরন মতে উনার তালাক হবে??

শায়খ সবকটা প্রশ্নের উত্তর একটু বুঝিয়ে বলবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
অন্য ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কারণে তার নিজের উপর তালাক হবে না।

(২)
সন্দেহ দ্বারা তালাক হয় না। সুতরাং ঐ মহিলা যদি সন্দেহে থাকে তাহলে তালাক হবে না।নতুবা তালাক হয়ে যাবে।

(৩)
জ্বী, নিজের উপর তালাক নিলে তালাক পতিত হয়।
তবে কাউকে বুঝাতে গিয়ে বললে তালাক হয় না।

(৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবে না।

(৫)
কোনো সমস্যা হবে না।তালাক হবে না।

(৬)
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...