ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কোনো প্রতিষ্টানকে কারো নিকট মন্দ করার জন্য বললে সেটাও গীবত হবে।
(২) তাওরিয়া করা তখনই অনুমোদিত হবে, যখন কারো ক্ষতি হবে না, এবং উদ্দেশ্য ভালো হবে, এবং এ তাওরিয়া করার ব্যতিত ভিন্ন কোনো রাস্তা বাকী থাকবে না।
(১)
যদি কেউ টাকা ধার নেয়ার সময় বলে, আমি ২০ তারিখে দিব।কিন্তু অন্তরে ছিল ৫ বছর পর কোন মাসের ২০ তারিখে দিবো।তাহলে এখানে অন্যর হক্ক মারা হবে। এমনটা বলা জায়েয হবে না।
(২)
যদি কেউ বলে আমি সারারাত তাহাজ্জুদ পড়ি।কিন্তু এশার সালাত আর ফজরের সালাত জামাতে আদায় করার কারনে সে সারারাতের তাহাজ্জুদের মধ্যে ছিল।এখানে আল্লাহর সাথে প্রতারণা হবে।
(৩)
কোনো বক্তার বক্তব্যর কোনো অংশ কেটে যদি তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায়।তাহলে সেটি গুনাহ হবে ।যদি ও এখানে কোনো মিথ্যা বলা বা আশ্রয়ের নেওয়া হয়নি।
(৪)
কোনো নারীর বাসায় যদি তার আপন ভাই যায়।কেউ যদি তা দেখে বলে অমুক নারীর ঘরে এক পুরুষকে নিয়ে এসেছে। কিন্তু যে বলেছে সে তাওরিয়া করে বলেছে।এক্ষেত্রে সমাজের মানুষ ঐই মহিলাকে যিনাকারী ভাবে।এখন ঐ ব্যক্তি অপবাদকারী হবে।
(৫)
চাল বিক্রি করার সময় বিক্রেতা যদি বলে চাল ফ্রেশ।কিন্তু তার অন্তরে ছিল উপরের চাল গুলো ফ্রেশ।আসলে বস্তার ভেতরের চাল পঁচা।এভাবে পন্য বিক্রি করলে অবশ্যই প্রতারনা হবে।
(৬)
কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে যদি নূন্যতম ৩০ বছর হতে হবে বলে। এক্ষেত্রে কেউ যদি তার বয়স সৌরবছর না ধরে আরবি বছর ৫৫৪ দিনে এক বছর ধরে বা অনুরূপ অন্য কোনো কোরিয়ানদের(মায়ের পেটে থাকাকালীন থেকে জন্মসাল শুরু হয়),বা অন্য কোনো হিসাব ধরে যদি ৩০ বছর হয়েছে বলে।এবং জন্মনিবন্ধন পরিবর্তন করে। তাহলে সেটাও প্রতারণা হবে।