আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার প্রশ্নটি হলো আজিম নাম রাখা যাবে কি?

আমি কোথাও শুনেছিলাম আজিম নাম রাখা না যায়েজ।

আমি সন্মানিত আলেমগনের  কাছে জানতে চাচ্ছি, যে এই নামের অর্থ কি?। এটা রাখা যায়েজ নাকি না যায়েজ,

যদিও বাচ্চার বয়স এখন ৭ মাস। যদি নাম না যায়েজ হয় তাহলে এখুনি চেঞ্জ করতে হবে। আর যদি যায়েজ হয়। তাহলে জন্ম নিবন্ধন করে ফেলবো।

অনুগ্রহ করে জানাবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ভালো নাম রাখা পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব। আমরা এভাবেও বলতে পারি যে, পিতা-মাতার উপর সন্তানের সর্বপ্রথম হক হচ্ছে, তার জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করা।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও  আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.

অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। -মুসনাদে বাযযার (আলবাহরুয যাখখার), হাদীস ৮৫৪০

হযরত আবুদ দারদা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ.

কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের ও তোমাদের বাবার নাম নিয়ে (অর্থাৎ এভাবে ডাকা হবে- অমুকের ছেলে অমুক)। তাই তোমরা নিজেদের জন্য সুন্দর নাম রাখ। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৪৮
,
আরো জানুনঃ 
,
আল্লাহ তায়ালার যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।তবে বিষয়টা ব্যাখা সাপেক্ষ্য।

যদি কুরআন-হাদীস ও উম্মাহর তা'আ'মূল(ব্যবহার) এবং উরফে আম(সমাজ ব্যবস্থায়) এ- ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা প্রমাণিত থাকে, তাহলে সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা যাবে।এতে  কোনো প্রকার সমস্যা নেই।যেমনঃ
عزيز، علي، كريم، رحيم، عظيم، رشيد، كبير، بديع، كفيل، هادي، واسع، حكيم ،
যেমনঃ আযীয, আলী, কারিম, রাহিম, আজীম, রাশিদ, কাবির, বাদি', কাফিল, হাদী, ওয়াসি', হাকীম, ইত্যাদি।

বিস্তারিত জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

عَظِيم ج عِظَام ، عُظَمَاء ، عُظُم [عظم]
['আযীম] শব্দের অর্থঃ 
বিরাট,মহান,বড়,সম্মানিত,মর্যাদাপূর্ণ,গুরুত্বপূর্ণ,
গৌরবময়,ক্ষমতাবান।

এটি মহান আল্লাহ তায়ালার নাম।
এই নামের শুরুতে "আবদ"  শব্দ যুক্ত না করেও রাখা যাবে।
সমস্যা নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আজীম নাম রাখা যাবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...