আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
153 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (109 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমার ভাই ঠিকঠাক নামাজ পড়েনা,পাক নাপাকের ব্যাপারেও সচেতন নয়,শার্ট সাধারণত নাপাক না হলেও তার প্যান্ট নাপাক,সে একটা কলেজ ব্যাগ ব্যবহারবকরত,স্কুল ব্যাগের মত ঘাড়ে আটকিয়ে পিঠে নেয়।সমস্যা হল ওর শার্ট ঘেমে ব্যাগের পিছনে লাগত। বাসার কাজের লোক যখন কাপড় ধুয়ে দেয় তারা ইসলাম সম্মত ভাবে দেয়না,এম্নিতে যেভাবে ধোয় সাবান লাগিয়ে,তবে একসাথে(পাক-নাপাক) মিলে।কাপড় কাচে।তবে তিনবার ধোয়না। এম্নিতে সাধারণ ভাবে আমাদের মা বোনরা যেভাবে ধোয় আরকি।

এজন্য আমি ওর শার্ট প্যান্ট নাপাক হিসেবে ধরি(যেহেতু তার পাক শার্ট নাপাক প্যান্ট একসাথে ধোয়) এখন যেহেতু ঘামা শার্ট ব্যাগে লাগছে,সেই ব্যাগ আমি ব্যবহার করতে গেলে আমার ঘামা কাপড় ও লাগে।এখন প্রশ্ন হল সেই ব্যাগ কে কি নাপাক ধরা ঠিক হচ্ছে? আর আমার কাপড়?এভাবে অনেক সালাত ও আদায় করেছি।সেসব

আরেকটি প্রশ্ন,

আমি ঈলার ব্যাপারে জান্তাম্না।এখন জানার পর আমি আমার স্ত্রীর উপর মাঝেমাঝে রাগ করে মনে মনে ভাবতাম এর সাথে স৯হবাস করবনা।তবে কখনো মুখে বলছি কিনা জানিনা।মুখে বলেছিলাম তুমি এমন করলে যতদিন না তুমি চাবে ততদিন সহবাস করবনা।

যাইহোক যদিও বা মুখে বলে থাকি,আমি তার কিছুদিনের মাঝে[একসপ্তাহের কম সময়ের মাঝে) তার সাথে আবার নরম্যাল ব্যবহার করি।(আমি স্ত্রীর থেকে দূরে থাকি) তাই ফোন মেসেজে যতটুক স্বামী স্ত্রী সুলভ হুওয়া যায় আরকি।
এসব ক্ষেত্রে কি ঈলা পড়েছে? উল্লেখ্য আমি কোথাও কসম শব্দ উচ্চারণ করিনি, শুধু রাগ করে ভেবেছি অথবা বল্লেও অনেক ক্ষোভ নিয়ে নিয়াত সহ বলেছি

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.

যদি পবিত্র কাপড়কে -অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে, নতুবা অপবিত্র হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাগে যদি নাপাকির চিন্হ/গন্ধ পাওয়া যায়,অথবা শার্ট ঘেমে এতোটা ঘাম সেই ব্যাগে লাগে যে সাধারণ কাপড় হলে তাহা নিংড়ানো হলে পানি পড়তো,তাহলে এটিকে নাপাক বলা হবে,নতুবা পাকই থাকবে।

প্রশ্নের বিবরণ মতে সেই ব্যাগে নাপাকির চিন্হ/গন্ধ পাওয়া না গেলে এবং ঘাম বেশি না লাগলে সেটিকে অয়াক ধরতে পারবেন।

(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে  তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

অর্থাৎ যদি কেহ যদি কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈলার শর্ত পাওয়া যায়নি,তাই এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা, তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...