ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/47001/ নং
ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اَلنَّبِیُّ اَوۡلٰی بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ
مِنۡ اَنۡفُسِہِمۡ وَ اَزۡوَاجُہٗۤ اُمَّہٰتُہُمۡ ؕ وَ اُولُوا الۡاَرۡحَامِ
بَعۡضُہُمۡ اَوۡلٰی بِبَعۡضٍ فِیۡ کِتٰبِ اللّٰہِ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ وَ
الۡمُہٰجِرِیۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ تَفۡعَلُوۡۤا اِلٰۤی اَوۡلِیٰٓئِکُمۡ مَّعۡرُوۡفًا ؕ
کَانَ ذٰلِکَ فِی الۡکِتٰبِ مَسۡطُوۡرًا ﴿۶﴾
নবী মুমিনদের কাছে তাদের নিজেদের চেয়েও ঘনিষ্টতর এবং তার স্ত্রীগণ তাদের মা।
আর আল্লাহর বিধান অনুসারে মুমিন ও মুহাজিরগণের চেয়ে—যারা আত্মীয় তারা পরস্পর
কাছাকাছি। তবে তোমরা তোমাদের বন্ধু-বান্ধবের প্রতি কল্যাণকর কিছু করার কথা আলাদা।
এটা কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
(সুরা আহযাব ০৬)
★রাসূল সাঃ
এর পূণ্যবতী স্ত্রীগণকে সকল মুসলিমের মা বলে আখ্যায়িত করার অর্থ-সম্মান ও
শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে মায়ের পর্যায়ভুক্ত হওয়া। মা-ছেলের সম্পর্ক-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন
আহকাম, যথা-পরস্পর
বিয়ে-শাদী হারাম হওয়া, মুহরিম
হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরস্পর পর্দা না করা এবং মীরাসে অংশীদারিত্ব প্রভৃতি
এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
যেমন, আয়াতের
শেষে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে। আর রাসূলের পত্নীগণের সাথে উম্মতের বিয়ে অনুষ্ঠান
হারাম হওয়ার কথা অন্য এক আয়াতে ভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সুতরাং এক্ষেত্রে
বিয়ে অনুষ্ঠান হারাম মা হওয়ার কারণেই ছিল, এমনটি হওয়া
জরুরী নয়।
মোটকথা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ শুধুমাত্র এ অর্থে
মুমিনদের মাতা যে, তাদেরকে সম্মান
করা মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব। বাদবাকি অন্যান্য বিষয়ে তারা মায়ের মতো নন। যেমন
তাদের প্রকৃত আত্মীয়গণ ছাড়া বাকি সমস্ত মুসলিম তাদের জন্য গায়ের মাহরাম ছিল এবং
তাদের থেকে পর্দা করা ছিল ওয়াজিব। তাদের মেয়েরা মুসলিমদের জন্য বৈপিত্ৰেয় বোন
ছিলেন না, যার ফলে
তাদের সাথে মুসলিমদের বিয়ে নিষিদ্ধ হতে পারে। তাদের ভাই ও বোনেরা মুসলিমদের জন্য
মামা ও খালার পর্যায়ভুক্ত ছিলেন না। কোন ব্যক্তি নিজের মায়ের তরফ থেকে যে মীরাস
লাভ করে তাদের তরফ থেকে কোন অনাত্মীয় মুসলিম সে ধরনের কোন মীরাস লাভ করে না।
[ফাতহুল কাদীর]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেহেতু রাসূল সাঃ এর পূণ্যবতী স্ত্রীগণকে সকল মুসলিমের মা বলে আখ্যায়িত করার
অর্থ-সম্মান ও শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে মায়ের পর্যায়ভুক্ত হওয়া।
এটি হাকীকি অর্থে মা নয়,সম্মান ও
শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে মা।
,
সুতরাং এই অর্থে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে বাবা বলে আখ্যায়িত করা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
যেমনটি অন্য এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজেই বলেছেনঃ
إِنّمَا أَنَا لَكُمْ
مِثْلُ الْوَالِد.
অর্থাৎ, আমি তোমাদের
জন্য পিতৃতুল্য। সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ৮০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১৪৩১