আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।আমি মনে হয় এসব ব্যপারে আগেও প্রশ্ন করেছলাম আপনার কাছে।আপনি তালাক হবে না বলছিলেন মনে হয়।আমার ঠিক স্পষ্ট মনে নেই।কিছু মনে করিয়েন না শায়খ আমি কথা মনে রাখতে পারি না।আর মারাত্বক ওয়াসওয়াসা আমার।
১।ধরেন কোন স্বামী স্ত্রীর কেও জানে না মেয়েদের তালাকের অধিকারের ব্যপারে। তারা জানে শুধু আইনের মাধ্যমে দেওয়া যায়।ইসলামে মেয়েরা দিতে পারে না এটা জানত না,শুনেও নি কোনদিন।তহ মাঝে মাঝে স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী বলত তুমি দাও।এটার দ্বারা যে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে বা স্ত্রী অধিকার পেয়েছে ওটা স্বামী স্ত্রী কেও জানত না।কারন তারা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছে ইসলামে মেয়েরা তালাক দিতে পারে না।ধরেন মেয়েটা যদি এর কয়েকদিন বা এর পর স্বামীকে বলে আজ থেকে তুর সাথে সম্পর্ক নাই, বা আমি তুর কেও না, বা তুই আমার কেও না,বা যদি বলে আমাকে আর পাবে না হারায় ফেলছ ইত্যাদি। মেয়েটা জানে না কেোন নিয়তে বলেছে।বললেও মনে হয় স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলেছে কারন সে মেয়েরা নিজেরা তালাক নিতে পারে সেই বিষয়ে জানত না।কারন সে কয়েকবার স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক বলেছিল।তহ আগে এই বিষয়ে জানত না।এখন জানতে পারছে যে মেয়েরাও পারে।এখন চিন্তায় পরে গেছে।এতে কি তালাক হবে?কোনদিন শুনেও নাই এসব ব্যপারে ওরা।
২।উক্ত মেয়েটি তহ জানত না এই বিষয়ে। সে এই বিষয়ে জানবার আগে যদি স্বামীকে বলে যে তুই আমার জন্য হারাম বা আমি তুর জন্য হারাম।সে যদি এসব স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলে তাহলে কি তালাক হবে? কারন সে জানত না এসব তালাকের ব্যাপারে।আর সে বুঝতেছে না কোন দিকে ইন্গিত করেছে ওর যদি মনে হয়,স্বামীর দিকে ইন্গিত করেছে তাহলে কি তালাক হবে? কারন সে জানত না এই বিষয়ে।স্বামীও জানত না
৩। মেয়েটি যদি বলে ওই কাজটি করলে তুমি হারাম বা আমি হারাম তুমার জন্য।স্বামী যদি ওই কাজটা করে তাহলে কি তালাক হবে? মনে হয় মেয়েটি বুঝাতে চায়ছে আর পাবে না মেয়েটাকে,ও চলে যাবে। মানে ভবিষ্যৎ ট ওই কাজটা করলে আইনের মাধ্যমে তালাক দিবে স্বামীকে সেটা বুঝাত মনে হয়।আসলে সে এই সব বিষয়ে কিছু জানত না।স্বামীও জানত না।
৪।আমি জানি না ঠিক আমার সাথে এমনটা হয়েছে কিনা।মনে নেই।তবে আমার স্বামী আমাকে তালাকের অধিকার দিছে।ওপরের প্রশ্নগুলো করার কারনে আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করেছি।আমি অনেক টেনশনে এসব প্রশ্নগুলো দ্বারা।