আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
399 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।আমি মনে হয় এসব ব্যপারে আগেও প্রশ্ন করেছলাম আপনার কাছে।আপনি তালাক হবে না বলছিলেন মনে হয়।আমার ঠিক স্পষ্ট মনে নেই।কিছু মনে করিয়েন না শায়খ আমি কথা মনে রাখতে পারি না।আর মারাত্বক ওয়াসওয়াসা আমার।

১।ধরেন কোন স্বামী স্ত্রীর কেও জানে না মেয়েদের তালাকের অধিকারের ব্যপারে। তারা জানে শুধু আইনের মাধ্যমে দেওয়া যায়।ইসলামে মেয়েরা দিতে পারে না এটা জানত না,শুনেও নি কোনদিন।তহ মাঝে মাঝে স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী বলত তুমি দাও।এটার দ্বারা যে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে বা স্ত্রী অধিকার পেয়েছে ওটা স্বামী স্ত্রী কেও জানত না।কারন তারা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছে ইসলামে মেয়েরা তালাক দিতে পারে না।ধরেন মেয়েটা যদি এর কয়েকদিন বা এর পর  স্বামীকে বলে আজ থেকে তুর সাথে সম্পর্ক নাই, বা আমি তুর কেও না, বা তুই আমার কেও না,বা যদি বলে আমাকে আর পাবে না হারায় ফেলছ  ইত্যাদি। মেয়েটা জানে না কেোন নিয়তে বলেছে।বললেও  মনে হয় স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলেছে কারন সে মেয়েরা নিজেরা তালাক নিতে পারে সেই বিষয়ে জানত না।কারন সে কয়েকবার স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক বলেছিল।তহ আগে এই বিষয়ে জানত না।এখন জানতে পারছে যে মেয়েরাও পারে।এখন  চিন্তায় পরে গেছে।এতে কি তালাক হবে?কোনদিন শুনেও নাই এসব ব্যপারে ওরা।

২।উক্ত মেয়েটি তহ জানত না এই বিষয়ে। সে এই বিষয়ে জানবার আগে যদি স্বামীকে বলে যে তুই আমার জন্য হারাম বা আমি তুর জন্য হারাম।সে যদি এসব স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলে তাহলে কি তালাক হবে? কারন সে জানত না এসব তালাকের ব্যাপারে।আর  সে বুঝতেছে না কোন দিকে  ইন্গিত করেছে ওর যদি মনে হয়,স্বামীর দিকে ইন্গিত করেছে তাহলে কি তালাক হবে? কারন সে জানত না এই বিষয়ে।স্বামীও জানত না

৩। মেয়েটি যদি বলে ওই কাজটি করলে তুমি হারাম বা আমি হারাম তুমার জন্য।স্বামী যদি ওই কাজটা করে তাহলে কি তালাক হবে? মনে হয় মেয়েটি বুঝাতে চায়ছে আর পাবে না মেয়েটাকে,ও চলে যাবে। মানে ভবিষ্যৎ ট ওই কাজটা করলে আইনের মাধ্যমে তালাক দিবে স্বামীকে সেটা বুঝাত মনে হয়।আসলে সে এই সব বিষয়ে কিছু জানত না।স্বামীও জানত না।

৪।আমি জানি না ঠিক আমার সাথে এমনটা হয়েছে কিনা।মনে নেই।তবে আমার স্বামী আমাকে তালাকের অধিকার  দিছে।ওপরের প্রশ্নগুলো করার কারনে আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করেছি।আমি অনেক টেনশনে এসব প্রশ্নগুলো দ্বারা।

1 Answer

0 votes
by (575,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা 

(০২) 
না,তালাক হবেনা।

(০৩)
তালাকের নিয়ত না থাকায় তালাক হবেনা।

(০৪)
না,আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (40 points)
মানে শায়খ ২নং প্রশ্নটা নিয়ত ছাড়া বা নিজের দিকে ইন্গিত করে বলে নি তাই তালাক হবে না তাই না? বা মেয়েটা এই বিষয়ে জানত না তাই তালাক হবে না তাই না?তবে এটা সিওর সে নিজের দিকে ইন্গিত করে নি কারন ইন্গিতের বিষয়টাও সে জানত না। শুনেও নি তখন মেয়েরা তালাকের পাওয়ার পায় যে সেটা।দয়া করে বলবেন।
by (575,550 points)
হ্যাঁ, নিজের দিকে ইঙ্গিত করে বললে তালাক হতো।
নতুবা তালাক হবেনা।
by (40 points)
edited by
১।হুজুর কোন স্বামী স্ত্রী ধরেন জানেই না মেয়েরা নিজেদের তালাক দিতে  পারে যে সেটা।ইসলামে এই নিয়মটা আছে যেও শুনে নাই কোনদিন।শুধু শুনে আসছে মেয়েরা তালাক দিতে পারে না।তহ এমনিতে শুনেছে আইনের মাধ্যমে পারে মানে বাংলাদেশ আইনের মাধ্যমে।তাও জানে যে স্বামীকে দিতে পারে।মানে অনেক মহিলা বলে না ডিভোর্স  নেওয়ার কথা?  ওইরকম শুনছে কিন্তু সেটা মানে জানত যে হয়ত স্বামীকে দেয়।মানে কোনদিন শুনে নি আর জানত ও না ইসলামে এমন অধিকার আছে স্বামী মুখে পাওয়ার দিলেও।স্বামীও জানত না।স্বামীও মনে হয় জানত না ওর।তবে কাবিননামায় পাওয়ার দিলে আইনের মাধ্যমে দেওয়া যায় সেটা জানত তাও স্বামীকে।মেয়েরা নিজেদের পারে সেটা শুনেও নি কোনদিন।তহ এইরকম ভাবে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক বললে কি তালাক হবে? ধরেন এটা সিওর নিজের দিকে করে নি।মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বললে?আমি এমন প্রশ্ন আগেও করেছি তালাক হবে না বলেছিলেন।এই প্রশ্নে হয়ত একটু পরিবর্তন হতে পারে বেশি না।

২।যার প্রশ্ন সেই মেয়েটা নিজে ১নং প্রশ্নটা করলে কি তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?মানে নিজে বলেছে না বলে স্বামী স্ত্রী বা অন্য কেও বলেছে বলে প্রশ্ন করলে?  মানে অন্য জনের দিকে  ইন্গিত করে করলে আর কি।

৩।উপরের ২নং প্রশ্নটা নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হবে না এই তহ হুজুর?
by (575,550 points)
(০১)
এতে তালাক হবেনা।

(০২)
যার প্রশ্ন সেই মেয়েটা নিজে ১নং প্রশ্নটা করলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
উপরের ২নং প্রশ্নটা নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হবে না।
by (40 points)
২ নং প্রশ্নের কথা গুলো যদি স্বামী বলত তাহলে নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হত তাই না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...