আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম,
বিভিন্ন মানুষদের থেকে বেশ কিছু কথা শুনেছি এবং শুনছি  নিয়মিত।  কিন্তু কথাগুলোর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নই।
1/ একজন শহীদ জান্নাতে যাওয়ার সময় সাথে করে 70 জনকে নিয়ে যেতে পারবেন।
2/ একজন হাফিয জান্নাতে যাওয়ার সময় সাথে করে ১০ জন কে নিতে পারবেন।


3/ কোনো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন   শিশু যেমন অটিসম এ আক্রান্ত বা ডাঊন সিন্ড্রোম এ আক্রান্ত শিশু জান্নাতে যাওয়ার সময় সাথে করে 3 জনকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবেন।

4/ হাশর এর দিন কেবল রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত এর ক্ষমতা থাকবে বলে জানতাম কিন্তু এক ব্যক্তি বললেন   যে আল্লাহ এর ইচ্ছায় আরো কেউ কেউ নাকি পারবেন।
এই চারটি বিষয়ে সঠিক জ্ঞান এর জন্য প্রশ্নটি করছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাবঃ-
(১)এ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন,
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللهِ سِتُّ خِصَالٍ: يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ، وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الجَنَّةِ، وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَيَأْمَنُ مِنَ الفَزَعِ الأَكْبَرِ، وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الوَقَارِ، اليَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الحُورِ العِينِ، وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ.
মিকদাম ইবনু মা‘দীকারির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে শহীদদের জন্য রয়েছে ছয়টি বৈশিষ্টঃ রক্ত ক্ষরণের প্রথম মূহূর্তেই তাকে মাফ করা হবে। জান্নাতে তার নির্ধারিত স্থান প্রদর্শন করা হবে। কবর আযাব থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সবচেয়ে মহাভীতির দিনে তাকে নিরাপদে রাখা হবে, তাঁর মাথায় সম্মানের তাজ পরানে হবে, এর একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও এর সব কিছু থেকে উত্তম হবে; বাহাত্তর জন আয়াত লোচন হুরের সঙ্গে তার বিবাহ হবে, তার সত্তর জন নিকট আত্মীয় সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করা হবে। সহীহ, আহকামুল জানায়িয ৩৫-৩৬, তা'লীকুর রাগীব ২/১৯৪, সহীহাহ ৩২১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী] ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।(সুনানে তিরমিযি-১৬৬৩)


(২)এ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন,
عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرأ القرآن واستظهره فأحل حلاله وحرم حرامه أدخله الله به الجنة وشفعه في عشرة من أهل بيته كلهم قد وجبت له النار قال أبو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه وليس إسناده بصحيح وحفص بن سليمان يضعف في الحديث
আলী ইবন আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং তা হিফজ করেছে, এর হালালকে হালাল বলে মেনেছে এবং হারামকে হারাম বলে গ্রহণ করেছে, আল্লাহ্ তা’আলা এর কারণে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং সে তার পরিবারের এমন দশ জনকে সুপারিশ করতে পারবে যাদের প্রত্যেকের উপর জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী।
খুবই দুর্বল, ইবনু মাজাহ ২১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের আর কিছু জানা নেই। এর সনদ সহীহ নয়, হাফস ইবন সুলায়মান হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ।
(সুনানু তিরমিযি-২৯০৫)

(৩)এরকম কোনো বর্ণনা আমরা পাইনি।

(৪)হাশরের ময়দানে খবর ইলমে গায়েবের সংবাদ।যা আল্লাহ ব্যতীত কেউই জানেন।আল্লাহ তা'আলা  রাসূলুল্লাহ সাঃ যতটুকু জানিয়েছেন,এতটুকু হল যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ শা'ফায়ত করবেন।তবে আর কেউ করবে কি না? রাসূলুল্লাহ সাঃ বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে,সেদিন আর কেউ সুপারিশ করার দুঃসাহস দেখাবে না।তবে সে দিন আল্লাহ কাউকে অনুমতি দিলে তিনি করতে পারবেন।আল্লাহ ইলমে কি রয়েছে,সেটা কেউ জানবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...