জবাবঃ-
(১)এ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন,
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللهِ سِتُّ خِصَالٍ: يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَةٍ، وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الجَنَّةِ، وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَيَأْمَنُ مِنَ الفَزَعِ الأَكْبَرِ، وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الوَقَارِ، اليَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الحُورِ العِينِ، وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ.
মিকদাম ইবনু মা‘দীকারির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে শহীদদের জন্য রয়েছে ছয়টি বৈশিষ্টঃ রক্ত ক্ষরণের প্রথম মূহূর্তেই তাকে মাফ করা হবে। জান্নাতে তার নির্ধারিত স্থান প্রদর্শন করা হবে। কবর আযাব থেকে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সবচেয়ে মহাভীতির দিনে তাকে নিরাপদে রাখা হবে, তাঁর মাথায় সম্মানের তাজ পরানে হবে, এর একটি ইয়াকুত পাথর দুনিয়া ও এর সব কিছু থেকে উত্তম হবে; বাহাত্তর জন আয়াত লোচন হুরের সঙ্গে তার বিবাহ হবে, তার সত্তর জন নিকট আত্মীয় সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করা হবে। সহীহ, আহকামুল জানায়িয ৩৫-৩৬, তা'লীকুর রাগীব ২/১৯৪, সহীহাহ ৩২১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী] ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।(সুনানে তিরমিযি-১৬৬৩)
(২)এ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন,
عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قرأ القرآن واستظهره فأحل حلاله وحرم حرامه أدخله الله به الجنة وشفعه في عشرة من أهل بيته كلهم قد وجبت له النار قال أبو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه وليس إسناده بصحيح وحفص بن سليمان يضعف في الحديث
আলী ইবন আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং তা হিফজ করেছে, এর হালালকে হালাল বলে মেনেছে এবং হারামকে হারাম বলে গ্রহণ করেছে, আল্লাহ্ তা’আলা এর কারণে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং সে তার পরিবারের এমন দশ জনকে সুপারিশ করতে পারবে যাদের প্রত্যেকের উপর জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী।
খুবই দুর্বল, ইবনু মাজাহ ২১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের আর কিছু জানা নেই। এর সনদ সহীহ নয়, হাফস ইবন সুলায়মান হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ।
(সুনানু তিরমিযি-২৯০৫)
(৪)হাশরের ময়দানে খবর ইলমে গায়েবের সংবাদ।যা আল্লাহ ব্যতীত কেউই জানেন।আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ সাঃ যতটুকু জানিয়েছেন,এতটুকু হল যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ শা'ফায়ত করবেন।তবে আর কেউ করবে কি না? রাসূলুল্লাহ সাঃ বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে,সেদিন আর কেউ সুপারিশ করার দুঃসাহস দেখাবে না।তবে সে দিন আল্লাহ কাউকে অনুমতি দিলে তিনি করতে পারবেন।আল্লাহ ইলমে কি রয়েছে,সেটা কেউ জানবে না।