আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by

প্লিজ পুরাটা পড়ে দেখেন।

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।আজকে ১০ তারিখ। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা হলো আজকে।পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান অংশে একটা কুফুরি প্রশ্ন দেখতে পেলাম।জীববিজ্ঞান এর written অংশে প্রশ্নটা ছিল এমন যেঃ

"বিবর্তনের সপক্ষে ৫টি প্রমান উল্লেখ কর"

এ ধরনের প্রশ্ন নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত।বিবর্তনবাদ তো সম্পূর্ন মিথ্যা ও কুফুরি কথা।পরীক্ষায় নম্বরের জন্য যদি এমন এসব লিখি,তাহলে কি কুফুরি হবে?

যদিও আমার hsc পরীক্ষা এখনো ১ বছর বাকি।আমি বিভিন্ন ভার্সিটির প্রশ্ন নিয়ে এনালাইসিস করি।কিন্তু আমি এ ধরনের প্রশ্ন নিয়ে খুবই চিন্তিত।আমার সময় যদি এমন সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাহলে,এর উত্তর করা কি কুফুরির পর্যায়ে পরবে?আমি একটা ছবি attach করে দিচ্ছি।আপনি চাইলে চেক করে দেখতে পারেন।আমি ইন্টারনেটে এ ব্যাপারে খোজাখুজি করেছি কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।

প্রশ্নের ছবির লিংকঃ

https://prnt.sc/W2Dx0AiQjStF

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
এ সম্পর্কে পাকিস্তান শরয়ী কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মুফতী তাক্বী উসমানী (দাঃবাঃ) এক প্রশ্নের জবাবে বলেনঃ
সহশিক্ষা নাজায়েয ও হারাম। তবে বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় দ্বীনদারের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।সরকারী-বেসরকারি সমস্ত পদ-পদবীতে অমুসলিম -ফাসিকদের জয়জয়কার।
(আমি বলবঃআজ এই দেখুন আমাদের বাংলাদেশ! যেখানে সব কর্তৃত্ব অমুসলিম এবং বেদ্বীনদের হাতে।তাই বললে ভূল হবে না যে, 
অমুসলিমরা জনসংখ্যা অনুপাতে সংখ্যালগু হলেও তারা সরকারী পদ-পদবীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ)

সুতরাং বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে,
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে  বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)(রদ্দুল মুহতার,১/৪২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এরকম প্রশ্নের উত্তর দিতেই যদি হয়, তাহলে উত্তর দিতে পারবেন।তবে উত্তরের আগে বা পরে আপনি লিখে দিবেন যে, এটা কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। সুতরাং একজন মুসলমান হিসেবে এধরণের আকিদা বিশ্বাস গ্রহণযোগ্য নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...