ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হেদায়াতে বর্ণিত রয়েছে,
যদি কুয়ায় ইঁদুর, চড়ুই, কোয়েল, দোয়েল, টিকটিকি ইত্যাদি মারা যায়, তাহলে বালতির বড়ত্ব ও ছোটত্ব হিসাবে বিশ থেকে ত্রিশ বালতি পর্যন্ত পানি তুলে ফেলতে হবে। অর্থাত্ ইঁদুর বের করে নেয়ার পর। এর প্রমাণ হল, আনা্স (রা.) বর্ণিত হাদীছে ইঁদুর সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, তা কুয়াতে মারা গেলে এবং তত্ক্ষণা্ত্ তা বের করে নিলে কুয়া থেকে বিশ বালতি পরিমাণ পানি তুলে ফেলতে হবে। চড়ুই ও অনুরূপ জন্তু যেহেতু দৈহিক পরিমাণে ইঁদুরের সমান তাই এসবের ব্যাপারে একই হুকুম প্রযোজ্য। বিশ বালতি পরিমাণ পানি তুলে ফেলা ওয়াজিব আর ত্রিশ বালতি পরিমাণ মুস্তাহাব। যদি কবুতর কিংবা তার মত প্রাণী যেমন, মুরগী, বিড়াল ইত্যাদি কুয়ায় পড়ে মারা যায়, তাহলে চল্লিশ থেকে বিশ বালতি পরিমাণ পানি তুলে ফেলতে হবে। গ্রন্থে চল্লিশ থেকে পণ্চাশ এর কথা আছে। আর তাই অধিক নির্ভরযোগ্য। কেননা আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীছে তিনি মুরগী সম্পর্কে বলেছেন, তা কুয়ায় পড়ে মারা গেলে সেখান থেকে চল্লিশ বালতি পানি তুলে ফেলতে হবে। এ পরিমাণ হলো ওয়াজিবের বিবরণ। আর পণ্চাশ হলো মুস্তাহাব। প্রত্যেক কুয়ার ক্ষেত্রে সেই বালতিই বিবেচ্য হবে, যা তা থেকে পানি তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। কারো কারো মতে এমন আকারের বালতি হতে হবে, যাতে এক সা’আ পরিমাণ পানি ধরে। আর যদি বৃহ্ত্ বালতি দ্বারা একবার বিশ বালতি পানি ধরে, এমন পানি তুলে ফেলা হয়; তাহলে মূল উদ্দেশ্য হাসিল হওয়ার কারণে তা বৈধ হবে। যদি তাতে বকরী, মানুষ বা কুকুর পড়ে মারা যায়, তাহলে তাতে বিদ্যমান সবটুকু পানি তুলে ফেলতে হবে। কেননা ইবন ‘আব্বাস ও ইবন যুবায়র (রা.) যমযম কূপে জনৈক নিগ্রোর মৃত্যুর কারণে সবটুকু পানি তুলে ফাতওয়া দিয়েছিলেন। যদি মৃত প্রাণী কুয়ার মধ্যে ফুলে পচে গলে যায়, তাহলে প্রাণী বড় হোক বা ছোট হোক, কুয়ার সবটুকু পানি তুলে ফেলতে হবে। কেননা পানির সর্বাংশে মৃত দেহের নিঃসৃত রস ছড়িয়ে পড়েছে। কূপ যদি এমন প্রস্রবণ প্রকৃতির হয় যে, তার পানি তুলে ফেলা অসম্ভব হয়, তাহলে তাতে বিদ্যমান পানির সমপরিমাণ তুলে ফেলতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আগেরদিন পড়েছে, তাই সম্ভবত পছে গেছে, তাই ট্যাংকির সমস্ত পানি ফেলে দিতে হবে।এবং যতগুলো নামায পড়া হয়েছে, সবগুলোকে কাযা করতে হবে।