আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

৬তলা বাসার ট্যাংকির পানিতে ইদুর পড়েছে,ধারনা করা হচ্ছে ইদুরটা আগের দিন রাতের বেলা পড়েছে। সারাদিন বিল্ডিংএর সবাই ঐ পানি ব্যবহার করেছে।আমার প্রশ্ন হচ্ছে পানিতে ইদুর পড়ার কারনে কি সব পানি নাপাক হয়ে গিয়েছে?আর ঐ পানি দিয়ে ওযু করে যত নামাজ পড়া হয়েছে সব কি আবার দোহরাতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (584,040 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হেদায়াতে বর্ণিত রয়েছে,
যদি কুয়ায় ইঁদুর, চড়ুই, কোয়েল, দোয়েল, টিকটিকি ইত্যাদি মারা যায়, তাহলে বালতির বড়ত্ব ও ছোটত্ব হিসাবে বিশ থেকে ত্রিশ বালতি পর্যন্ত পানি তুলে ফেলতে হবে। অর্থাত্ ইঁদুর বের করে নেয়ার পর। এর প্রমাণ হল, আনা্স (রা.) বর্ণিত হাদীছে ইঁদুর সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, তা কুয়াতে মারা গেলে এবং তত্ক্ষণা্ত্ তা বের করে নিলে কুয়া থেকে বিশ বালতি পরিমাণ পানি তুলে ফেলতে হবে। চড়ুই ও অনুরূপ জন্তু যেহেতু দৈহিক পরিমাণে ইঁদুরের সমান তাই এসবের ব্যাপারে একই হুকুম প্রযোজ্য। বিশ বালতি পরিমাণ পানি তুলে ফেলা ওয়াজিব আর ত্রিশ বালতি পরিমাণ মুস্তাহাব। যদি কবুতর কিংবা তার মত প্রাণী যেমন, মুরগী, বিড়াল ইত্যাদি কুয়ায় পড়ে মারা যায়, তাহলে চল্লিশ থেকে বিশ বালতি পরিমাণ পানি তুলে ফেলতে হবে। গ্রন্থে চল্লিশ থেকে পণ্চাশ এর কথা আছে। আর তাই অধিক নির্ভরযোগ্য। কেননা আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীছে তিনি মুরগী সম্পর্কে বলেছেন, তা কুয়ায় পড়ে মারা গেলে সেখান থেকে চল্লিশ বালতি পানি তুলে ফেলতে হবে। এ পরিমাণ হলো ওয়াজিবের বিবরণ। আর পণ্চাশ হলো মুস্তাহাব। প্রত্যেক কুয়ার ক্ষেত্রে সেই বালতিই বিবেচ্য হবে, যা তা থেকে পানি তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। কারো কারো মতে এমন আকারের বালতি হতে হবে, যাতে এক সা’আ পরিমাণ পানি ধরে। আর যদি বৃহ্ত্ বালতি দ্বারা একবার বিশ বালতি পানি ধরে, এমন পানি তুলে ফেলা হয়; তাহলে মূল উদ্দেশ্য হাসিল হওয়ার কারণে তা বৈধ হবে। যদি তাতে বকরী, মানুষ বা কুকুর পড়ে মারা যায়, তাহলে তাতে বিদ্যমান সবটুকু পানি তুলে ফেলতে হবে। কেননা ইবন ‘আব্বাস ও ইবন যুবায়র (রা.) যমযম কূপে জনৈক নিগ্রোর মৃত্যুর কারণে সবটুকু পানি তুলে ফাতওয়া দিয়েছিলেন। যদি মৃত প্রাণী কুয়ার মধ্যে ফুলে পচে গলে যায়, তাহলে প্রাণী বড় হোক বা ছোট হোক, কুয়ার সবটুকু পানি তুলে ফেলতে হবে। কেননা পানির সর্বাংশে মৃত দেহের নিঃসৃত রস ছড়িয়ে পড়েছে। কূপ যদি এমন প্রস্রবণ প্রকৃতির হয় যে, তার পানি তুলে ফেলা অসম্ভব হয়, তাহলে তাতে বিদ্যমান পানির সমপরিমাণ তুলে ফেলতে হবে। 



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আগেরদিন পড়েছে, তাই সম্ভবত পছে গেছে, তাই ট্যাংকির সমস্ত পানি ফেলে দিতে হবে।এবং যতগুলো নামায পড়া হয়েছে, সবগুলোকে কাযা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 152 views
...