আগের প্রশ্নটির মতোই একই ভাবে তাহাহুড়ার কারনে নাপাক বস্তুগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। শরীরে প্রস্রাব লাগা অবস্থাতেই সারা বাড়িতে ভেজা গায়ে ঘুরে বেড়ানো হয়েছে । নাপাক ভেজা হাতে বাড়ির বালতি, মগ, ট্যাপ, বদনা, জগ, গ্লাস, থালাবাসন সব ধরা হয়েছে। চেয়ার, বিছানা, সোফা সব জায়গাতেই ভেজা গায়ে বসা হয়েছে। আবার সেই হাত তেলের বোতলের ভিতরে ঢুকিয়ে তেল নেয়া হয়েছে। পর্দা, অন্যান্য প্রায় সব জামাকাপড় যৃগুলো সেই ভেজা হাতে ধরেছিলাম সবকিছুই তো নাপাক হয়ে গেছে। তাছাড়া আমার বাড়ির সবাই এগুলো ব্যবহার করেছে। তাই সবাই নাপাক হয়ে গেছে।
১।আমি কী এখন আগের মতোই সবকিছুকে পাক হিসেবে ব্যবহার করব?
২।নাকি বাড়ির সবকিছু ধুতে হবে? এতো কিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না
৩। যেহেতু এখানে সাধারন নিয়ম খাটবে না, তাই নামাজের ক্ষেত্রে যেসব জিনিস ও কাপড় ব্যবহার করব, সেগুলো কি না ধুলে কোনো সমস্যা হবে? আগের প্রশ্নটির উত্তরে তো বলেছিলেন কোনো সমস্যাই হবে না। তবে ধুয়ে নিলে ভালো। না ধুলেও কোনো সমস্যা হবে না।
৪।আমি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে সবকিছুকে ঐ ভাবেই ব্যবহার করেছি। ঐভাবেই সবকিছুকে পাক ধরে নামাজ পরেছি। আমি কী ঠিক করেছি?
৫।আমি তো চুলে তেল মেখে নামাজ পড়ি। আবার মুখে ক্রিম মেখে নামাজ পড়ি। এতে কী নামাজ হবে? যেহেতু সবকিছুই নাপাক। আর এগুলো তো ধোয়ার কোনো উপায়ও নেই। তাই আমি কী প্রয়োজনের খাতিরে সবকিছুই পাক ধরব?
৬।আর বাথরুমের বালতি, মগ, বদনা কী ধুতে হবে? নাকি পাক হিসেবে ব্যবহার করব? এগুলো সারাদিনে অলরেডি ঐ অবস্থাতেই অনেক বার ব্যবহার করা হয়েছে।