ওয়া
আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ব্যতীত এবং অন্যন্য হারাম জিনিষ থেকে মুক্ত ইসলামিক ইতিহাস নিয়ে রচিত কোনো কার্টুন থাকলে শিক্ষার প্রয়োজনে শিশুদের জন্য অনুমোদন কিছুসংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।এমন কার্টুন প্রয়োজনে বড়রাও মাঝেমধ্যে দেখতে পারবে।তবে সব সময় আবার দেখতে পারবে না।কেননা এতে সময়ের অপচয় হবে।
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)বিস্তারিত জানুন-
2152 তবে অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম সকল প্রকার কার্টুনকেই নিষিদ্ধতার অন্তর্ভুক্ত করেন।
(২)যে সব গেমে মিউজিক বা নারীদের প্রতিচ্ছবি কিংবা কার্টুন থাকবে,সেগুলো পরিস্কার হারাম।তবে যদি কোনো গেম এ সমস্ত হারাম থেকে পবিত্র থাকে,তাহলে যৎ সামান্য সময়ের জন্য মনের মধ্যে আনন্দ আনয়ের উদ্দেশ্যে তা খেলা জায়েয হতে পারে।যদি তা অন্য কোনো হারামের দিকে নিয়ে না যায়।বিস্তারিত জানুন-
673
(৩)কার্টুন মুর্তির মতই।সুতরাং যেভাবে মুর্তি বানানো নাজায়েয সেভাবে কার্টুন বানানোও নাজায়েয এবং হারাম।তবে কিছু সংখ্যক ফুকাহাগণ শিক্ষার স্বার্থে শিশুদের জন্য ইসলামিক কার্টুনের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।