আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
edited by
আমি আজ সকালে প্রস্রাব করতে গেলে আমার হাতে নাপাকী লাগে। আমি সেই হাতে সাবান ধরি। কিন্তু সাবানটা আমি স্পর্শ করার পর ধোয়ার আগেই আমার বাব সেটিকে ধরে নিয়ে একটি জায়গাতে রাখে। বাবা আর হাত ধোননি।
১।তার হাত ভেজা ছিল। তিনি ঐ হাতে বাসার অনেক কাজ করেছেন। খাবার দাবার ধরেছেন। সকালের নাশতা রেডি করেছেন। এগুলো সব কী নাপাক?

২।বাথরুমের ফ্লোরে এক জায়গাতে নাপাকী ছিল । আমি ঐ জায়গাতে পানি দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। পরে কাজের বুয়া এসে ফ্লোরে পানি না ঢেলে ওভাবেই সব কাজ করে। আমি বাসায় ছিলাম না। বুয়া বাড়ির সবকিছু পরিষ্কার করে। আর তার কাপড় ও শরীর সবসময়ই ভেজা থাকে। পানি দিয়ে কাজ করেন তাই। সে ঐ ফ্লোরে খালি পায়ে হেটেছে  । ফ্লোর ভেজা ছিল। তারপর সেই পায়ে সারা বাড়ি হাটে। এতে সারা বাড়ি ও বাড়ির সব পাপোশ নাপাক হয়ে যায়। তাছাড়া সেই ভেজা ফ্লোরে হেটে আমার মা বিছানায়ও উঠেছেন।এতে কী যা যা ভিজে গেছে সবকিছুই নাপাক?
৩। সকাল বেলা কনুইয়ে নাপাকী লাগে বালতিতে নাপাক কাপড়একবার চুবানো পানি ছিল। আমি জানতাম। কিন্তু আমি ঐ পানিতেই হাত চুবিয়ে অন্যান্য জিনিস ধরি, অনেক কাপড় চোপড় ধরি । এছাড়া পর্দা ধরেছি। বেডশিট ধরেছি। বালতি, মগ, বদনা সব  এক কথায় বাড়ির প্রায় সবকিছুই  নাপাক করে ফেলেছি। এখন এতোকিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না
আমি সবকিছুকে পাক ধরে নামাজ পরেছি। আমি কী ঠিক করেছি?

৪। নাকি সবকিছু ধুতে হবে? এতো কিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না।

৫। কোনো এক কারনে আমি বাড়ির সবকিছুকে নাপাক করে ফেলেছি। কারনটা উল্লেখ করলাম না।http://ifatwa.info/45194/নং প্রশ্নের মতো একই ধরনের একটি কারনে। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে বাড়িরপ্রায় সবকিছুই নাপাক। এখন কী করব? সবকিছু ধুতে হবে? নাকি পাক হিসেবে ব্যবহার করব? বি.দ্র. কোথাও কোনো চিহ্ন বা গন্ধ নেই।

৬৷সবকিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না। এগুলো বা নামাজে যেগুলো ব্যবহার করব সেগুলো না ধুলে কী কোনো সমস্যা হবে? এগুলোর প্রায় সবকিছুই নামাজে ব্যবহার করা হয়।

৭। আমি যদি কোনো কিছু না ধুই, সবকিছুকে পাক বিবেচনা করে নামাজ পড়ি। তাহলে কোনো সমস্যা হবে কী?

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِلَّا مَا اضۡطُرِرۡتُمۡ اِلَیۡہِ
তবে তোমরা নিরুপায় হলে তা স্বতন্ত্র।
(সুরা আনআম ১১৯)

https://ifatwa.info/45194/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
যেহেতু প্রস্রাবের ছিটা আপনার শরীর বা হাতে লাগার পর আপনি ঐ হাত দ্বারা টেপ বদনা ইত্যাদি ধরেছেন, তাই সাধারণ নিয়মানুযায়ী আপনার হাত শরীর বদনা টেপ ইত্যাদি সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দেখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে আমরা বলবো,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।

ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।

 যথাক্রমেঃ-
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
শরীয়তের নিয়ম অনুসারে আপনার বাবার হাত (ধুয়ে পাক করার আগ পর্যন্ত) যতক্ষন ভেজা ছিলো,ততক্ষন পর্যন্ত যেই যেই বস্তু স্পর্শ করছেন সবই নাপাক হয়ে গিয়েছে। 

কিন্তু এখানে সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দেখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে উপরোক্ত ফতোয়া মোতাবেক  ,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।

(০২)
বুয়ার ভেজা পা থেকে আপনার বাসার যা যা ভিজে গেছে,সবই নাপাক হবে।

(৩.৪)
উপরোক্ত ফতোয়া মোতাবেক বিশেষ প্রয়োজনের  ভিত্তিতে সেগুলোকে পাক ধরে কাজ করতে পারবেন।
তবে নামাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে আপাতত নামাজের স্থান,শরীর,কাপড় সন্দেহে ছাড়া পরিপূর্ণ পাক রাখা।    

(৫)
উপরোক্ত ফতোয়া মোতাবেক বিশেষ প্রয়োজনের  ভিত্তিতে সেগুলোকে পাক ধরে কাজ করতে পারবেন।

(০৬)
নামাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে আপাতত নামাজের স্থান,শরীর,কাপড় সন্দেহে ছাড়া পরিপূর্ণ পাক রাখা।    

(০৭)
উক্ত ফতোয়া মোতাবকে নামাজ হয়ে যাওয়ার কথা। 
কিন্তু আপাতত নামাজের স্থান,শরীর,কাপড় পূর্ণ পাক রেখে নামাজ পড়ার পরামর্শ থাকবে।  
কেননা নামাজে এসব পাক রাখা ফরজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...