বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِلَّا مَا اضۡطُرِرۡتُمۡ اِلَیۡہِ
তবে তোমরা নিরুপায় হলে তা স্বতন্ত্র।
(সুরা আনআম ১১৯)
যেহেতু প্রস্রাবের ছিটা আপনার শরীর বা হাতে লাগার পর আপনি ঐ হাত দ্বারা টেপ বদনা ইত্যাদি ধরেছেন, তাই সাধারণ নিয়মানুযায়ী আপনার হাত শরীর বদনা টেপ ইত্যাদি সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দেখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে আমরা বলবো,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
শরীয়তের নিয়ম অনুসারে আপনার বাবার হাত (ধুয়ে পাক করার আগ পর্যন্ত) যতক্ষন ভেজা ছিলো,ততক্ষন পর্যন্ত যেই যেই বস্তু স্পর্শ করছেন সবই নাপাক হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এখানে সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দেখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে উপরোক্ত ফতোয়া মোতাবেক ,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।
(০২)
বুয়ার ভেজা পা থেকে আপনার বাসার যা যা ভিজে গেছে,সবই নাপাক হবে।
(৩.৪)
উপরোক্ত ফতোয়া মোতাবেক বিশেষ প্রয়োজনের ভিত্তিতে সেগুলোকে পাক ধরে কাজ করতে পারবেন।
তবে নামাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে আপাতত নামাজের স্থান,শরীর,কাপড় সন্দেহে ছাড়া পরিপূর্ণ পাক রাখা।
(৫)
উপরোক্ত ফতোয়া মোতাবেক বিশেষ প্রয়োজনের ভিত্তিতে সেগুলোকে পাক ধরে কাজ করতে পারবেন।
(০৬)
নামাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে আপাতত নামাজের স্থান,শরীর,কাপড় সন্দেহে ছাড়া পরিপূর্ণ পাক রাখা।
(০৭)
উক্ত ফতোয়া মোতাবকে নামাজ হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু আপাতত নামাজের স্থান,শরীর,কাপড় পূর্ণ পাক রেখে নামাজ পড়ার পরামর্শ থাকবে।
কেননা নামাজে এসব পাক রাখা ফরজ।