বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নফল নামাজে প্রত্যেক দুই রাকাত সয়ংসম্পুর্ণ হাইছিয়ত রাখে।
তাই কেহ যদি চার রাকাতের নিয়ত করে দুই রাকাত পড়েই সালাম ফিরায়,তাহলে অতিরিক্ত দুই রাকাতের কাজা নেই।
,
তবে যেহেতু তিনি চার রাকাতের নিয়ত করেছিলেন,তাই আরো দুই রাকাত পড়ে নেওয়া উত্তম।
জরুরী নয়।
تبيين الحقائق وحاشية الشلبي – (1 / 174)
قَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ (وَقَضَى رَكْعَتَيْنِ لَوْ نَوَى أَرْبَعًا وَأَفْسَدَهُ بَعْدَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ أَوْ قَبْلَهُ) لِأَنَّ كُلَّ شَفْعٍ مِنْ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ صَلَاةٌ عَلَى حِدَةٍ وَالْقِيَامُ إلَى الثَّالِثَةِ بِمَنْزِلَةِ تَحْرِيمَةٍ مُبْتَدَأَةٍ فَيَلْزَمُهُ بِهِ فَفَسَادُهُ لَا يُوجِبُ فَسَادَ الشَّفْعِ الْأَوَّلِ ؛ لِأَنَّهُ قَدْ تَمَّ بِالْقُعُودِ وَيَلْزَمُهُ قَضَاءُ الشَّفْعِ الثَّانِي لِصِحَّةِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَإِنْ أَفْسَدَهُ قَبْلَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الشَّفْعِ الْأَوَّلِ لِصِحَّةِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَلَا يَلْزَمُهُ الثَّانِي لِعَدَمِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّهُ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الْأَرْبَعِ اعْتِبَارًا لِلشُّرُوعِ بِالنَّذْرِ وَلَوْ قَعَدَ فِي الْأَوَّلِ وَسَلَّمَ أَوْ تَكَلَّمَ لَا يَلْزَمُهُ شَيْءٌ لِأَنَّ الشَّفْعَ الْأَوَّلَ قَدْ تَمَّ بِالْقُعُودِ وَالثَّانِي لَمْ يَشْرَعْ فِيهِ وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّهُ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الْأُخْرَيَيْنِ لِأَنَّ نِيَّتَهُ قَارَنَتْ سَبَبَ الْوُجُوبِ فَيَلْزَمُهُ مَا نَوَى اعْتِبَارًا بِالنَّذْر.فقط
,
সারমর্মঃ ২য় শুফআ কাজা করার জরুরি নয়,কেননা সেই শুফআ শুরুই করা হয়নি।
তবে আবু ইউসুফ রহঃ এর নিকটে শেষ ২ রাকাত যাহা আদায় করেনি,তার কাজা আদায় করতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাকি দুই রাকাত নফল পড়া উত্তম।
তবে আবশ্যক নয়।
চাইলে বাকি ২ রাকাত পড়তেও পারেন,নাও পারেন।
না পড়লে গুনাহ হবেনা।
(০২)
এতে নামাজের ক্ষতি হবেনা।
(০৩)
এতে সালাতের ক্ষতি হবেনা।
(০৪)
না,সমস্যা হবেনা।
(০৫)
এতে সমস্যা নেই।
(০৬)
সালাম দাতার জন্য এবং সালাম প্রেরণকারীর জন্য বলতে হবে-
عَلَيْكَ وَ عَلَيْهِ السّلَامُ
উচ্চারণ : আলাইকা ওয়া আলাইহিস সালাম)।
(০৭)
শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল।
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি আপনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুতে গিয়ে ইমামমে এক সেকেন্ড সময়ের জন্যেও রুকুতে পান,তাহলে উক্ত রাকাত পেয়েছেন বলে গন্য হবে।
(০৮)
এতে সেজদায়ে সাহু দিতে হবেনা।
আয়াত/শব্দ ছুটে যাওয়ার বিষয় উক্ত রাকাতেই মনে আসলে সেটি শুদ্ধ করে নিতে হবে।
(০৯)
ব্যাংক থেকে দিলে এগুলো সূদের টাকাই হয়।
তাই আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়,তথা আপনি যদি সাহেবে নেসাব না হোন,যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হয়ে থাকলে আপনি সেটি নেয়ার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
(১০)
যদি সেটির পরিমান এক দিরহাম (৫ টাকার কয়েন) এর চেয়ে কম হয়,তাহলে নামাজ হবে।
আর যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে নামাজ হবেনা।
(১১)
এটি সঠিক।
তবে এটি আবশ্যকীয় আমল নহে।
আমাদের বাসা বাড়িতে যেই টিকটিকি পাওয়া যায়,সেটিকে মারলেও ছওয়াব হবে।