আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in সালাত(Prayer) by (58 points)
edited by
১. ৪ রাকাত নফল সালাত পড়ার নিয়তে সালাত শুরু করার পর জামাআতের সালাত ধরার জন্য ওই সালাতের ২য় রাকাতে সালাম ফিরিয়ে ফেললো। এতে পরে কি আবার ওই নফল সালাত আবার ৪ রাকাত পড়া লাগবে কি?

২. ফরয সালাতে ৩য় বা ৪র্থ রাকাতে ভুলে বিসমিল্লাহ বললে কি কোনো ক্ষতি হবে? + কোনো আয়াত তিলাওয়াত করে ফেললে?

৩. ফরয সালাতে ৩য় বা ৪র্থ রাকাতে ভুলে তিলাওয়াত করে ফেললো, তিলাওয়াত করার সময় মনে পড়লো এই রাকাতে তিলাওয়াত করা লাগে না, সাথে সাথে তাকবীর বলে রুকুতে চলে গেলো। তো কখনো কখনো আয়াত শেষ হয়নি বা ১-২ টা আয়াত তিলাওয়াত করার পর রুকুতে যাওয়া হয়। এতে সালাতের ক্ষতি হবে কি?

৪. অনিচ্ছাকৃত ফরয সালাতে সুরার কিরাতের তারতীব উল্টা পাল্টা হয়ে গেলে কি সমস্যা হবে?
৫. সালাতের ভিতরে একই আয়াত ভুলে ২ বার পড়ে ফেললে বা আয়াত টা সহীহ ভাবে উচ্চারণ না হওয়ায় আবার তিলাওয়াত করা। এতে হুকুম কি?
৬. ক ব্যক্তি খ ব্যক্তির পক্ষ থেকে গ ব্যক্তিকে তার সালাম পৌঁছালো। এক্ষেত্রে সালামের জবাব কি হবে?

৭. অনেক সময় জামাআতের সালাতে দেরি করে আসায় ইমাম সাবকে রুকুতে পাওয়ার জন্য রুকুতে যায় আর তখনই সামি..... বলে রুকু থেকে উঠে যায়। এই অবস্থায় করণীয় কি? ইমামকে কি রুকুতে পেয়েছে ধরা হবে নাকি ধরা হবে না?

৮. ফরয সালাতে তিলাওয়াতের সময় কোনো আয়াত বা শব্দ মিস হয়ে গেলে বা ছুটে গেলে করণীয় কি? সাহু সিজদা লাগবে কি লাগবে না?

৯. কলেজের সেমিস্টার পাশ করলে ব্যাংক থেকে উপবৃত্তি দেয় এই উপবৃত্তি নেওয়ার জন্য এপ্লাই করতে হয়। আমি জানি না কোন ব্যাংক দেয় এটা। আর BD এর ইসলামিক ব্যাংক নামধারী গুলো ইসলামের শরীয়ত মেনে লেনদেন করে না। তাহলে আমি কি সেই উপবৃত্তির জন্য এপ্লাই করতে পারবো?

১০. যদি প্রসাবের ফোঁটা বা মজি যদি শরীলে লেগে শুকিয়ে যায় বা কোথায় লেগেছে না জানলে কি ওই অবস্থায় অজু করে সালাত আদায় করলে কি সালাত হবে?

১১. অনেক আলেম বলেন, টিকটিকি ও গিরগিটি মেরে ফেলতে। আবার শুনেছি, ১ বারিতে মারতে হবে। উক্ত বিষয় সঠিক কিনা? আর সঠিক হলে বাংলাদেশে সাধারণত ঘরে ঘরে যেই টিকটিকি দেখা যায় তা মারা যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
নফল নামাজে প্রত্যেক দুই রাকাত সয়ংসম্পুর্ণ হাইছিয়ত রাখে।
তাই কেহ যদি চার রাকাতের নিয়ত করে দুই রাকাত পড়েই সালাম ফিরায়,তাহলে অতিরিক্ত দুই রাকাতের কাজা নেই।
,
তবে যেহেতু তিনি চার রাকাতের নিয়ত করেছিলেন,তাই আরো দুই রাকাত পড়ে নেওয়া উত্তম।
জরুরী নয়।

تبيين الحقائق وحاشية الشلبي – (1 / 174)
قَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ (وَقَضَى رَكْعَتَيْنِ لَوْ نَوَى أَرْبَعًا وَأَفْسَدَهُ بَعْدَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ أَوْ قَبْلَهُ) لِأَنَّ كُلَّ شَفْعٍ مِنْ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ صَلَاةٌ عَلَى حِدَةٍ وَالْقِيَامُ إلَى الثَّالِثَةِ بِمَنْزِلَةِ تَحْرِيمَةٍ مُبْتَدَأَةٍ فَيَلْزَمُهُ بِهِ فَفَسَادُهُ لَا يُوجِبُ فَسَادَ الشَّفْعِ الْأَوَّلِ ؛ لِأَنَّهُ قَدْ تَمَّ بِالْقُعُودِ وَيَلْزَمُهُ قَضَاءُ الشَّفْعِ الثَّانِي لِصِحَّةِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَإِنْ أَفْسَدَهُ قَبْلَ الْقُعُودِ الْأَوَّلِ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الشَّفْعِ الْأَوَّلِ لِصِحَّةِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَلَا يَلْزَمُهُ الثَّانِي لِعَدَمِ شُرُوعِهِ فِيهِ وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّهُ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الْأَرْبَعِ اعْتِبَارًا لِلشُّرُوعِ بِالنَّذْرِ وَلَوْ قَعَدَ فِي الْأَوَّلِ وَسَلَّمَ أَوْ تَكَلَّمَ لَا يَلْزَمُهُ شَيْءٌ لِأَنَّ الشَّفْعَ الْأَوَّلَ قَدْ تَمَّ بِالْقُعُودِ وَالثَّانِي لَمْ يَشْرَعْ فِيهِ وَعَنْ أَبِي يُوسُفَ أَنَّهُ يَلْزَمُهُ قَضَاءُ الْأُخْرَيَيْنِ لِأَنَّ نِيَّتَهُ قَارَنَتْ سَبَبَ الْوُجُوبِ فَيَلْزَمُهُ مَا نَوَى اعْتِبَارًا بِالنَّذْر.فقط
,
সারমর্মঃ ২য় শুফআ  কাজা করার জরুরি নয়,কেননা সেই শুফআ শুরুই করা হয়নি।
তবে আবু ইউসুফ রহঃ এর নিকটে শেষ ২ রাকাত যাহা আদায় করেনি,তার কাজা আদায় করতে হবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাকি দুই রাকাত নফল পড়া উত্তম।
তবে আবশ্যক নয়।
চাইলে বাকি ২ রাকাত পড়তেও পারেন,নাও পারেন।
না পড়লে গুনাহ হবেনা।  

(০২)
এতে নামাজের ক্ষতি হবেনা।

(০৩)
এতে সালাতের ক্ষতি হবেনা।

(০৪)
না,সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এতে সমস্যা নেই।

(০৬)
সালাম দাতার জন্য এবং সালাম প্রেরণকারীর জন্য বলতে হবে-
عَلَيْكَ  وَ عَلَيْهِ السّلَامُ

উচ্চারণ : আলাইকা ওয়া আলাইহিস সালাম)।

(০৭)
শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
যদি আপনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরিমা  বলে রুকুতে গিয়ে ইমামমে এক সেকেন্ড সময়ের জন্যেও রুকুতে পান,তাহলে উক্ত রাকাত পেয়েছেন বলে গন্য হবে।

(০৮)
এতে সেজদায়ে সাহু দিতে হবেনা।
 আয়াত/শব্দ ছুটে যাওয়ার বিষয় উক্ত রাকাতেই মনে আসলে সেটি শুদ্ধ করে নিতে হবে।

(০৯)
ব্যাংক থেকে দিলে এগুলো সূদের টাকাই হয়।
তাই আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়,তথা আপনি যদি সাহেবে নেসাব না হোন,যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হয়ে থাকলে আপনি সেটি নেয়ার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

(১০)
যদি সেটির পরিমান এক দিরহাম (৫ টাকার কয়েন) এর চেয়ে কম হয়,তাহলে নামাজ হবে।
আর যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে নামাজ হবেনা।

(১১)
এটি সঠিক।
তবে এটি আবশ্যকীয় আমল নহে।
আমাদের বাসা বাড়িতে যেই টিকটিকি পাওয়া যায়,সেটিকে মারলেও ছওয়াব হবে।        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...