ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
যদি husband wife এর মধ্যে কোন একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, আর wife রেগে তালাক চায়,স্বামী সাথে সাথে কিছু না বলে অন্য কথা বলে,অর্থাৎ তার তালাক দেয়ার ইচ্ছে নাই, তাই সে এটা এড়িয়ে যায়।
তারপর যে বিষয়টা নিয়ে ঝগড়া হইসিল সেটা নিয়ে কথার কাটাকাটি করে এরপর রেগে যদি কোন কেনায়া শব্দ বলে নিয়তবিহীন, তাহলে তালাক হবে না। কেননা রাগান্বিত অবস্থায় নিয়ত ব্যতিত কেনায়া তালাক বললে তালাক হয়না।
(২)
phone এ কথা বলা অবস্থায় একই জায়গায় বসে বার বার call করা হয় মানে call কেটে সাথে সাথে আবার call দেয় তাহলে কি সেটা আলাদা আলাদা মজলিশ হবে। এমনকি বারবার না কাটলেও আলাদা মজলিস হিসেবে গণ্য হবে।