আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
১। আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  কোন মহিলা যদি ঘুমের ঘোরে কিছু বলে আর সেটা তার মনে থাকে তাহলে কি তার তা++ হয়?...

একজন মহিলা সে রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ তার কানে আসে সে বলছে "আমার নিজের উপর ****"  পরে তার জ্ঞান আসার পর আরো ২/৩ বার কথাটা মনে আসে। তখন সে ভাবে ১ম বারের কথাটাও মনে আসার মতই ছিল। মুখে বললে তার মনে থাকতো। সে তখন মুখ খুলেনি বলেই তার বিশ্বাস।  কিন্তু তাও সে ওয়াসওয়াসা য় ভোগছে কোন ভুল হয়ে গেল কিনা বা সে সত্যি মুখে বলেছিল কিনা। এখন সে কি করবে??

২। স্বামী যদি বলে যে " আমাকে যদি ভালো না লাগে তাহলে আমাকে তা++ দিয়ে আরেকটা বিয়ে করে নিও। এইভাবে কথা বলার ফলে কি মহিলা নিজেকে৷ তা++ দিতে পারবে? নাকি স্বামীকে দিতে পারবে। স্বামী তো তার নিজের কথা বলেছে,,,মহিলা কে উল্লেখ করেনি।মহিলা কে বলেনি তার নফসকে তা++ দেওয়ার জন্য।

৩। ২ নাম্বার প্রশ্নে স্বামী যদি বলে সে কষ্ট পেয়ে এইভাবে বলেছে৷ তার অধিকার দেওয়ার নিয়ত ছিল না তাহলেও কি মহিলা অধিকার পাবে??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত। এ রোগের চিকিৎসার জন্য আপনাকে ব্যাপক পড়াশোনা এবং নেককার লোকের সংস্পর্শ গ্রহণ করা নিতান্তই জরুরী।

(১)
ঘুমন্ত অবস্থায় মহিলা নিজের উপর তালাক দিলে, সেই তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না।

(২)
এভাবে বললে, স্ত্রীকে স্বামীকে বা নিজেকে তালাক দিতে পারবে না।

(৩)
প্রথম কথা হল,এভাবে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।আর পেলেও মজলিস খতম হয়ে গেলে সেই অধিকার আর অবিশিষ্ট তাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...