বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যাকাত শুধুমাত্র মালে নামী তথা ক্রমবর্ধমান মালের উপর ওয়াজিব হয়।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/864
যাকাত সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434
যাকাতের নেসাব-
৭.৫ তুলা স্বর্ণ অথবা ৫২ভড়ি রূপা বা তার সমমূল্যের টাকার মালিকের উপর ২.৫%করে যাকাত দেওয়া ফরয।
★যাকাতের খাত
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০) বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/699
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
জায়গার ইজারা মূল্যর উপর আপনি যে ২.৫% যাকাত দিচ্ছেন, তা সঠিক।
(২)
যিনি ফসল করবেন, তিনিই উশর দিবেন।আপনাকে উশর দিতে হবে না।
(৩)
জমির মূল্যের উপর যাকাত ফরয হবে না।
(৪)
যারা ইজারা নিয়েছে তারা যদি তামাক, পান ইত্যাদি চাষ করে, তাহলে আপনার কোনো সমস্যা হবে না।আপনাকে ইনকাম হারাম হবে না।
(৫)
হারাম হবে না।