বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না।
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ
‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ
‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।
তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।
★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিবাহ পূর্ব শর্তাধীন তালাক পতিত হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন ।
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
https://ifatwa.info/44452/
ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
"আমি একটা মেয়ে কে ইন্ডিকেট করে বলছি যদি করি তাহলে ওকে বিয়ে করলে হারাম হিসাবে কবুল করবা"
এই বাক্য দ্বারা হস্তমৈথুন করার পর আপনি যদি ঐ মেয়েকে বিয়ে করেন, তাহলে ঐ মেয়ে আপনার জন্য হারাম হবে। আপনার নিয়ত যদি এক তালাকের থাকে, তাহলে বিয়ের সাথে সাথেই এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে বিয়ের সাথে সাথেই তিন তালাক পতিত হবে।
আর যদি আপনার কোনো নিয়ত না থাকে,তাহলে এক তালাকই পতিত হবে।
আরো জানুনঃ-
(০২)
হ্যাঁ সঠিক।
(০৩)
হ্যাঁ দুই রকম হবে।
ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করা সংক্রান্ত আল্লাহর নাম নিয়ে কসম করলে তাহা ভেঙ্গে ফেললে কাফফারা দিতে হয়।
আর আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে ওয়াদা ভঙ্গ করলে কাফফারা নেই।
(০৪)
সংযোজন করা হয়েছে,পুনরায় দেখতে পারেন।
(০৫)
হ্যাঁ, তালাক হিসেবে কবুল হবে।
(০৬)
আপনি এখানে কয় তালাক হবে,এমন কোনো নিয়তই করেননি,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মেয়েকে বিবাহ করলে এক তালাক হবে।
,
এই এক তালাক হয়ে যাওয়ার পর আপনি তাকে নতুন করে আবারো বিবাহ করতে পারবেন।
বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনাদের ঘর সংসার বৈধ হবে,সমস্যা আর হবেনা।
আপনি আর দুই তালাক প্রাদানের মালিক থাকবেন।
(০৭)
অন্য কোনো মেয়ের কোনো সম্পর্ক নাই।
অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নাই।
(০৮)
তাকে বিবাহ করলে এক নং জবাবের ন্যায় তালাক পতিত হবে।
(০৯)
তাকে বিবাহ করলে এক নং জবাবের ন্যায় তালাক পতিত হবে।