জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম যদি বেতন কাটা হয়ে থাকে,তাহলে প্রতিষ্ঠান হিসেব মোতাবেক তার বেতন কেটে রাখতে পারবে।
সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত গ্রহনযোগ্য ওযর না হলে তার সেই পরিমান বেতন নেয়া জায়েজ হবেনা।
আর যদি এভাবে বেতন কেটে রাখা উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম না হয়ে থাকে,তাহলে বেতন কেটে রাখা যাবেনা।
(০২)
মুখে জড়তা হলেও কাহারো কোনো হক নষ্ট করে ফেললে এতে তার কাছে গিয়ে অবশ্যই মাফ চেয়ে নিতে হবে।
যদি সেটি সম্ভবপর না হয়,তাহলে তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবে,চাইলে তার নামে সদকাহও করতে পারে।
(০৩)
তারা যদি ফুল বেতন দেয় তাহলে আপনার সেটি গ্রহন করতে সমস্যা নেই।
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একটি কাজা রোযা রাখলেই হবে।