আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
closed by
আসসালামুআলাইকুম..

* সাপোজ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকের ৪৫ মিনিট ক্লাস করানোর কথা। ওনি যদি একটু লেইট করে আসেন এবং ৪৫ মিনিটের জায়গায় ৪০ মিনিট পড়ান সেক্ষেত্রে ওই ৫ মিনিটের টাকা (বেতন) প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া কি হালাল হবে?

এখন ওনি তো কতৃপক্ষকে গিয়ে বলতে পারবেন না যে আমার ৫ মিনিটের বেতন হিসাব করে কেটে নেন। এটা কেমন যেন অদ্ভুদ হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পরকালে কি এতটা সূক্ষ্মভাবে হিসাব নেওয়া হবে?

* আর অনেক ক্ষেত্রে আমরা অন্যর হক নষ্ট করে ফেলি, যেমন মজা করে কারও মনে কষ্ট দেওয়া বা গীবত করা এই জাতীয়,, এসব ক্ষত্রে নাকি বান্দ ক্ষমা না করলে আল্লাহ ও ক্ষমা করেন না।  এখন তাদের কি হবে যাদের কথা বলতে সমস্যা হয়, মানে তোতলামির সমস্যা আছে? আমি এমনিতে মেটামুটি ঠিকভাবে কথা বলতে পারি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু কথোপকথন এর শুরুটা আমি নিজে করতে গেলে তখন একটু সমস্যা হয়.. এক্ষেত্রে কারও হক নষ্ট করে ফেললে তার কাছে ক্ষমা চাইতে অসুবিধা হয়। গুনাহ করার পর আল্লাহর কাছে তওবা করার চিন্তা ভাবনা করতে গেলে এসব চিন্তা মাথায় আসে যে ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশত কত মানুষের হকই না নষ্ট করেছি, জেনে না জেনে কত হারাম টাকাই না খেয়ে ফেলেছি।
* আর,, আমি অনেকের কাছে ১০০ হত্যা করেও আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি.. এক্ষেত্রে বান্দার হক হওয়ার সত্বেও আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার বিষটি একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হতো..

* আর শুরুতেই শিক্ষকের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলাম কারণ আমি নিজে টিওশানি করি,, নিজের বেস্ট টা দিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু ওনাদের সাথে বলেছিলাম ১ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত পড়াবো, কিন্তু নামাযের সময় হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ১ ঘন্টা ১৫-২০ মিনিটের মতো পড়ানো হয়.. এই ক্ষেত্রে করণীয় কি? হিসাব করে আনুমানিক একটা পার্সেন্টেজ কি তাদের পক্ষ থেকে দান করে দিতে হবে?

* অন্য আরেকটা টপিক,, গত রমজানে শেষের দিকে রোজার সময় আমি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম যে দিন অসুস্থ ছিলাম ঐ দিনের রোজা তো রাখতে পারিনি__ঐদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় শরীর খারাপ ছিল ভেবেছিলাম রোজা রাখতে পারব না, তাই সেহেরির সময় উঠিনি। সকালের দিকে শরীর মোটামুটি ভালো হয়ে গিয়েছিলো, কিন্তু সেহের না করার কারণে অনেক বেশি তৃষ্ণা লেগেছিলো। আমার রোযা রাখার নিয়ত ছিলো না গত রাতে, আর নিয়ত ছাড়া রোযা হবে না, এটা ভেবে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে পানি পান করি। এক্ষেত্রে কি ইচ্ছাকৃতভাবে রোযা ভাঙ্গার কারণে টানা ৬০ টা রোযা রাখতে হবে? নাকি ১ টা কাযা রাখলে হবে?

প্রশ্নগুলা মনে হয় একদমই গুছিয়ে লিখতে পারিনি, তবুও ইনশাআল্লাহ উত্তরের আশায় থাকবো।।

জাযাকাল্লাহ..
closed

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম যদি বেতন কাটা হয়ে থাকে,তাহলে প্রতিষ্ঠান হিসেব মোতাবেক তার বেতন কেটে রাখতে পারবে।

সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত গ্রহনযোগ্য ওযর না হলে তার সেই পরিমান বেতন নেয়া জায়েজ হবেনা।

আর যদি এভাবে বেতন কেটে রাখা উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম না হয়ে থাকে,তাহলে বেতন কেটে রাখা যাবেনা।

(০২)
মুখে জড়তা হলেও কাহারো কোনো হক নষ্ট করে ফেললে এতে তার কাছে গিয়ে অবশ্যই মাফ চেয়ে নিতে হবে।
যদি সেটি সম্ভবপর না হয়,তাহলে তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবে,চাইলে তার নামে সদকাহও করতে পারে। 

(০৩)
তারা যদি ফুল বেতন দেয় তাহলে আপনার সেটি গ্রহন করতে সমস্যা নেই। 

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একটি কাজা রোযা রাখলেই হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...