আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in পবিত্রতা (Purity) by (98 points)
আমার পরিবারের কেউ পাক/নাপাক নিয়ে ভাবেনা।ওয়াওসায় ভুগি খুব।সারাদিন চিন্তায় থাকি

১)https://ifatwa.info/46055/___

আমি যা জানতে চাই তা হলো জুতার তলায় নাপাক থাকার কারণে কল পাড় কি পুরা নাপাক হয়ে গেছে? যেহেতু পুরা কল পাড় ভেজা ছিল? জুতা খুলে পা ধোয়ার কারণে কি আমার পা নাপাক রয়েছ্র

২)আমার প্যান্টে প্রস্রাবের দাগ ছিল।যা ১ দিরহয়াম কম।আমি প্যান্টে পানি লাগিয়ে প্যান্টের একপ্রান্তের সাথে আরেক প্রান্ত ডলে ধুয়ে ফেলি।কিন্তু দাগের উপর ডলা দেইনি।দাগ উঠেছে কিনা জানিনা।এই প্যান্ট কি পাক হয়েছ্র?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নতুন করে প্রশ্ন না করে আপনার উচিৎ ছিল, আপনি কমেন্ট করবেন।
আপনি এই কল নিয়ে অনেকবার প্রশ্ন করেছেন।আমরা জবাব দিয়েছি,তারপরও প্রশ্ন করেছেন।

এইবার উত্তর না বুঝলে, এ বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন করবেন না,বরং ফোনে কথা বলবেন।

আপনার প্রশ্নের জবাব-
যেহেতু জুতার তলায় নাপাকি নিয়ে কলপাড়ে গিয়েছিলেন, আর পুরো জায়গা ভেজা ছিল, তাই কল পাড়ের যে যে জায়গায় আপনার পাড়া পড়েছে,সেই জায়গা নাপাক হয়েছে। অতঃপর সেখানে পা ধোয়ার দ্বারা আপনার পা পবিত্র হয়েছে।তবে জুতার তলা এবং ঐ জায়গা নাপাকই রয়েছে।

জুতা খুলে পা ধোয়ার কারণে পা নাপাক হবে না।কেননা পানির প্রবাহের কারণে উক্ত জায়গাও পবিত্র হয়েছে। এবং আপনার পা ও পবিত্র হয়েছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
আন্ডারপ্যান্টে যদি ১ দিরহামের কম প্রস্রাবের দাগ থাকে তাহলে মাফ। যদি আপনার আন্ডারপ্যান্টে এই দাগ থাকে। এবং পুরো প্যান্টকে আপনি পানি দ্বানা ডলে ধুয়ে ফেলেনন, দাগ চলে যাক বা নাই যাক, আপনার প্যান্ট পবিত্র হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 100 views
...