আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
166 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

শায়েখ যদি প্রশ্ন এর উত্তর দিতেন তাহলে অনেক উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।
প্রশ্নগুলো হলো,

১। জেনে বুঝে যদি কেউ কাউকে আল্লাহকে খুশি করা ছাড়া অন্য কোন কারনে সাহায্য করে বা অন্যকে খুশি করার জন্য সাহায্য করে তাহলে কি শিরক হবে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?

২।কেউ যদি জেনে বুঝে আল্লাহকে খুশি করা ছাড়া অন্য কোন কারনে বা অন্য কাউকে দেখানোর জন্য বা অন্য কাউকে খুশি করার জন্য মেসওয়াক করে তাহলে কি শিরক হবে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে?

৩।আমার কাকার একটি মোটরসাইকেল আছে সে সেটা যৌতুক নিয়েছে সেই মোটরসাইকেল কি আমি চালাতে পারব এই মোটরসাইকেল চালানো আমার জন্য কি হালাল হবে নাকি হারাম হবে?

৪।কাকা যে মোটরসাইকেল যৌতুক নিয়েছে সেই মোটরসাইকেল কি তার  জন্য চালানো  হারাম হবে?
৫।কাকার মোটরসাইকেলের কেনার প্রমাণ আছে কিন্তু মেইন রাস্তায় চালানোর ডকুমেন্ট নাই এবং আমারও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই সেক্ষেত্রে কি আমি মেইন রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে পারব এটা কি হালাল হবে নাকি হারাম হবে?

৬।মেইন রাস্তায় মোটরসাইকেল না চালিয়ে এমনি রাস্তায় কি মোটরসাইকেল চালানো যাবে হালাল হবে নাকি হারাম হবে  উল্লেখ্য সেই রাস্তাও সরকারের?

৭।মেয়েদের ক্ষেত্রে অবিভাবক ছাড়া বিবাহ বাতিল আমি বিশ্বাস করি। এখন প্রশ্ন হলো,আমার বাবার চাচাতো ভাই মানে আমার কাকার সৎ মেয়ে আছে তাহলে আমার কাকার সৎ  মেয়েকে বিবাহ দেয়ার সময় অবিভাবক কে থাকবে উল্লেখ্য সেই মেয়ের বাবা মারা গেছে। এখন কাকার সৎ মেয়ের বিবাহ দেয়ার সময় অবিভাবক কে থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জেনে বুঝে যদি কেউ কাউকে আল্লাহকে খুশি করা ছাড়া অন্য কোন কারনে সাহায্য করে বা অন্যকে খুশি করার জন্য সাহায্য করে তাহলে এক্ষেত্রে যদিও শিরক হবে না। তবে উনার উচিৎ ছিল যে, তিনি এক্ষেত্রে আল্লাহকে রাজী খুশী করার নিয়ত করবেন।

(২)
কেউ যদি জেনে বুঝে আল্লাহকে খুশি করা ছাড়া অন্য কোন কারনে বা অন্য কাউকে দেখানোর জন্য বা অন্য কাউকে খুশি করার জন্য মেসওয়াক করে তাহলে এতেও শিরক হবে না, ইমান নষ্ট হবে না।যদিও উনার উচিৎ ছিল,তিনি আল্লাহকে রাজী খুশী করার নিয়ত করবেন।কেননা এদ্বারাই উনি সওয়াব পাবেন।

(৩)
আমার কাকার একটি মোটরসাইকেল আছে, সে সেটা যৌতুক নিয়েছে সেই মোটরসাইকেল আপনার চালানো জায়েয হবে না। কেননা এটা কনে পক্ষ্য অন্তরের খুশীতে দান করেনি।

https://www.ifatwa.info/8668 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/3747

(৪)
কাকার জন্য ও উক্ত সাইকেল চালানো জায়েয হবে না।
কেননা এটা কনে পক্ষ্য অন্তরের খুশীতে দান করেনি।

(৫)
যেহেতু এটা সরকারি নিয়ম।তাই সরকারি নিয়মকে ফলো করা অত্যান্ত জরুরী।

(৬)
সরকারি নিয়ম কি সেটা প্রথমে দেখবেন। যদি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গ্রামের রাস্তায়ও চালানোর অনুমতি না থাকে, তাহলে এক্ষেত্রেও আপনি বা আপনার কাকা সাইকেল চালাতে পারবেন না।

(৭)
উক্ত মেয়ের বাবা,ভাই,চাচা,চাচাতো ভাই,বা তাদের সন্তান, ধারাবাহিক ভাবে একের অনুপস্থিতিতে অন্যজন বিবাহের অভিভাবক থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...