ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/40187 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ভালো নাম রাখা পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। (মুসনাদে বাযযার,আলবাহরুয যাখখার)-৮৫৪০)
মুসলমান তার নামের শুরুতে মুহাম্মদ লিখতে পারবে।তবে নামের শুরুতে মুহাম্মাদ লিখা সুন্নত বা জরুরী মনে করা যাবে না।সুন্নত বা জরুরী মনে করলে সেটা বিদআত হবে। হিন্দুস্থানের শ্রী মন্দিরের হিন্দুরা তাদের নামের পূর্বে মন্দিরের নাম শ্রী লাগিয়ে রাখত,সেই এলাকার আশপাশের মুসলমানরা তাদের নামের পূর্বে মুহাম্মদ লাগাত। পুরুষদের নামের প্রথমে মুহাম্মদ এবং নারীদের নামের শুরুতে মুছাম্মত লাগানোর প্রচলন শুরু হয়।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামের প্রারম্ভে মুহাম্মদ বা মুসাম্মত লাগানো নাজায়েয কিছু নয়। বরং লাগানো যাবে। তবে নামের প্রারম্ভে মুহাম্মদ কিংবা মুসাম্মত লাগানোকে জরুরী মনে করা যাবে না।জরুরী মনে করলে অবশ্যই তা বিদ'আত হিসেবে পরিগণিত হবে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুহাম্মদ পুরুষের নামের প্রথমে লাগানোও জরুরী নয়,বরং নারীদের নামের প্রারম্ভেও মুহাম্মদ লাগানো যাবে। তবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের নামের সাথেই মুহাম্মদ নামের বেশ প্রচলন রয়েছে।
আমাতুল্লাহ অর্থ, আল্লাহর বান্দি। মুহাম্মদ, তো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম।