আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
397 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
যেসব একাউন্ট পূর্ন সুদ্মুক্ত করা সম্ভব না ,তা থেকে পরিত্রাণের উপায়।পূরো টাকা দান করবে নাকি কতৃপক্ষ চার্জ কাটার পর যা থাকবে

1 Answer

0 votes
by (566,220 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

যে সমস্ত মুসলমানেরা সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানে, তারা যথাসম্ভব সুদি কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে।
 কারণ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা বকেয়া আছে তা ছেড়ে দাও—যদি তোমরা মুমিন হও। অতঃপর যদি তোমরা না করো, তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত ২৭৮-২৭৯)

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও তার সাক্ষীদ্বয়ের ওপর অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন এরা সবাই সমান। (মুসলিম, হাদিস : ৩৯৮৫)
,
আগে দুটি মাসয়ালা জেনে নেই।
(০১)যদি শুধু সূদের টাকা দিতে এসে ট্যাক্স ইত্যাদি বাবদ কিছু টাকা দিতে হয়,তাহলে সূদের টাকা থেকে উক্ত ট্যাক্স দেওয়া যাবে। 
যেহেতু ট্যাক্সটি আসছে উক্ত সূদের উপর। তাই সুদী টাকা দিয়েই উক্ত ট্যাক্স/ভ্যাট আদায় করা যাবে।[ইযাহুন নাওয়াদির-১০৬-১০৭]

صرح الفقهاء بان من اكتسب مالا بغير حق فاما ان يكون كسبه بعقد فاسد كالبيوع الفاسدة والاستيجار على المعاصى (الى قوله) ففى جميع الاحوال المال الحاصل له حرام عليه ولكن ان اخذه من غير عقد لم يملكه ويجب عليه ان يرده على مالكه ان وجد المالك (بذل المجهود-1/37)
যার সারমর্ম হলো মালিক পাওয়া গেলে উক্ত হারাম সম্পদ তাকে ফেরত দিতে হবে।
এই সম্পদ  খাওয়া জায়েয হবেনা। 

(০২) যদি কাহারো উপর অন্য কোনো কারনে ট্যাক্স আসে,তাহলে সুদের টাকা দ্বারা ট্যাক্স দেওয়া জায়েয হবে না। ঐ টাকা গরীবদেরকেই ছদকাহ করে দিতে হবে। কারণ ঐ টাকা দিয়ে ট্যাক্স দিলে তা নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার হয়ে যায়।
-আহকামুল কুরআন জাসসাস ১/৪৬৭; ইমদাদুল আহকাম ১/৪৭৯

★★ব্যাংকের একাউন্টে টাকা রাখলে ট্যাক্স এবং সার্ভিস বাবদ যেই অংশ কেটে নেয়, এটা পুরো টাকার উপরে থেকেই তারা এই চার্জ নেয়।
শুধু মূল টাকাই নয়,বা শুধু সূদের টাকাই নয়।
বরং পূরো টাকার উপরেও তাদের এই চার্জ। 
তাই এক্ষেত্রে ঐ টাকাকে "পুরোপুরি সূদের টাকা থেকে পরিশোধ করা"  জায়েজ হবেনা।
যেহেতু এই তাদের এই ট্যাক্স সার্ভিস চার্জ পুরো টাকার উপরেই এসেছে,তাই পার্সেন্ট করে উভয় টাকা (সূদের টাকা,মুল টাকা) থেকেই উক্ত ট্যাক্স ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।
তারপর সুদের টাকা  যা থাকবে,তা শরীয়তের নিয়ম মেনে ফকির মিসকিনদের মাঝে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়াই ছদকাহ করে দিতে হবে।  

فى معارف السنن- من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37
যার সারমর্ম হলো এই টাকা ফকির মিসকিনদের মাঝে ছদকাহ করে দিতে হবে।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (49 points)
তাহলে এক্ষেত্রে পুরো টাকা অর্থাৎ ১২০০ টাকায় সাওয়াব এর নিয়ত ছাড়া দান করে দেয়া কি উত্তম হবে না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...