আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)

আসসালামুআলাইকুম, চলন্ত ফ্যানের পাখায় লেগে কোন মুরগি বা পাখি আহত হলে,উক্ত মুরগি বা পাখি জবাই করে খাওয়া কি জায়েজ হবে?

উল্লেখ্য,পৃর্বে জবাই করেননি এমন বোন একা একা জবাই করেছেন এবং ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ এবং আল্লাহআকবার বলতে ভুলে গেছেন।

এক্ষেত্রে, কি উক্ত জবাই শুদ্ধ হবে?এবং তা খাওয়া জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চলন্ত ফ্যানের পাখায় লেগে কোন মুরগি বা পাখি শুধুমাত্র আহত হয়, এবং উক্ত মুরগির জান থাকাবস্থায় জবাই করে নেয়া হয়,তাহলে উক্ত মুরগি বা পাখিকে জবাই করে খাওয়া জায়েজ হবে। তবে যদি মোরগ বা পাখির এমন অবস্থা হয় যে, তাতে জান রয়েছে কি না?  সে সম্পর্কে নিশ্চিতি না পাওয়া যায়, বরং মৃত্যুর নিকটবর্তী হওয়াকেই স্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে এমতাবস্থায় এ প্রাণীকে মৃতই ভাবা হবে।এবং সেটাকে জবাই করলেও ভক্ষণ করা যাবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَأَن تَسْتَقْسِمُوا بِالْأَزْلَامِ ۚ ذَٰلِكُمْ فِسْقٌ ۗ الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ ۚ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ ۙ فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা মায়েদা-০৩)

https://www.ifatwa.info/15293 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺬْﻛَﺮِ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻔِﺴْﻖٌ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦَ ﻟَﻴُﻮﺣُﻮﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺂﺋِﻬِﻢْ ﻟِﻴُﺠَﺎﺩِﻟُﻮﻛُﻢْ ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﻃَﻌْﺘُﻤُﻮﻫُﻢْ ﺇِﻧَّﻜُﻢْ ﻟَﻤُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় না, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে।{সূরা আন'আম-১২১}

যদি প্রকাশ্যে বিসমিল্লাহ কে অস্বিকার না করে এবং সে বলে যে, সে জবাই করার সময় মনে মনে বিসমিল্লাহ বলেছে,তাহলে উক্ত প্রাণী খাওয়া হালাল হবে।এক্ষেত্রে তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে।এমনকি যদি কোনো অমুসলিম ও বলে যে উক্ত প্রাণী একজন মুসলমান দ্বারা হালাল ত্বরিকায় জবাই করা হয়েছে তাহলে প্রাণী হালাল হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত অমুসলিমের কথাকেও বিশ্বাস করা যাবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া;৪/১৯৮)
আহলে কিতাব ব্যতীত অন্যান্য অমুসলিমদের জবাইকৃত পশু খাওয়া যদিও হরাম।তবে মুসলিম দ্বারা জবাইকৃত পশুর অমুসলিম দ্বারা রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে, জায়েয আছে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জবাইয়ের সময়ে ভুলে বিসমিল্লাহ্ ছেড়ে দিলে, সেই জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া হারাম হবে না।কেননা মু'মিন অন্তরে আল্লাহর নাম অবশ্যই থাকে।
https://www.ifatwa.info/4560 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
...