আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আমি পায়খানা করার পর পায়খানা পরিষ্কার না করেই কোমর থেকে পা অবধি সাবান মেখেছিলাম। এ সময় সাবানের সাথে পায়খানার গুড়া পুরো শরীরে ছড়িঅয়ে পড়ে এবং সেই পায়খানার গুড়া মিশ্রিত সাবান পানির ছিটা বিভিন্ন জায়গায় লাগে। বালতি মগেও লাগে। আমি তখন তা খেয়াল করিনি। সেই বালতি মগ ব্যবহার করে শরীর ধুয়ে বের হয়ে এসেছি। এতে বালতিতে যেই পানি ছিল, ছিটা পড়ার কারনে তো পুরোটাই নাপাক হয়ে যায়। বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর পর ভেজা কাপড়, পর্দা, বেডশিট চিপে শুকাতে দেই। ভেজা গায়েই অন্যান্য কাজ করি। এতে তো সেগুলো সব নাপাক হয়ে গেছে। এভাবে পুরো বাড়ির প্রায় সবকিছুই নাপাক হয়ে গেছে। এতো কিছু তো ধোয়া সম্ভব না। আর পায়খানা যেহেতু দৃশ্যমান নাপাকী তাই দেখা যাওয়ার কথা কোথায় লেগেছে। কিন্তু যেহেতু পায়খানার গুড়া অতি ক্ষুদ্র তাই আমিও খেয়াল করিনি যে কোথায় কোথায় লেগেছে। এখন আমার পক্ষে কী সম্ভব,  যে পুরো বাড়ির সবকিছুতে অতি ক্ষুদ্র পায়খানার গুড়া খুজে বের করা। তারপর ধৌত করা। আর প্রথমে যেসব জায়গাতে ছিটা লেগেছিল।  যেহেতু সেগুলো ব্যবহার করা  হয়েছে বেশ কয়েকবার তাই কোনো পায়খানার গুড়া দেখতে পাচ্ছি না। আর সেই নাপাক পানি দ্বারা শরীর ধোয়ার কারনে আমার শরীরের কোথাও পায়খানার গুড়া এখনো লেগে আছে কিনা বলতে পারছি না। কেননা তা অতিক্ষুদ্র।


এখন যদিও পায়খানা দৃশ্যমান।  কিন্তু কোথায় কোথায় লেগেছে খুজে বের করা যাচ্ছে না। আর ঐ নাপাক পানি ব্যবহার ঈরার কারনে প্রথমে আমার শরীর নাপাক হয়। এরপর ভেজা কাপড়গুলো ধরার কারনে সেগুলো নাপাক হয়। সোফা, বিছানা, পাপশ, ভেজা অবস্থাতে যা যা ধরেছি সব নাপাক হয়। এখন এতো কিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না।

আর কোন কোন জিনিসে এখনো পায়খানার গুড়া, চিহ্ন বা গন্ধ আছে তাও বলতে পারছি না।
১।এখন আমি কী সবকিছুকে পাক ধরব? এতোকিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না। আর আমি তো ভুল করে করেছি। প্রথমে বুঝতে পারিনি যে , বালতি, মগ ও অন্যান্য জায়গায় পায়খানার গুড়া লেগেছে।  কয়েক ঘণ্টা পরে আমার মনে পড়ে।

২৷কোথাও পায়খানার চিহ্ন বা গুড়া থাকলেও বুঝতে পারছি না যে তা ময়লা নাকি পায়খানার অতি ক্ষুদ্র গুড়া। এখন তো সবকিছুকে পাক ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও এগুলো ব্যবহার করেছে।
৩।আমি তো ভুল করে করেছি। এখন আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে সবকিছুকে পাক ধরে নিই । তিনি তো ক্ষমাশীল,  পরম দয়ালু।

৪।আমি কী সবকিছুকে পাক ধরব? পায়খানার চিহ্ন থাক বা না থাক। যেহেতু বুঝতে পারছি না কোথাও চিহ্ন বা গুড়া এখনো আছে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (573,150 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِلَّا مَا اضۡطُرِرۡتُمۡ اِلَیۡہِ
তবে তোমরা নিরুপায় হলে তা স্বতন্ত্র।
(সুরা আনআম ১১৯)

https://ifatwa.info/45194/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
যেহেতু প্রস্রাবের ছিটা আপনার শরীর বা হাতে লাগার পর আপনি ঐ হাত দ্বারা টেপ বদনা ইত্যাদি ধরেছেন, তাই সাধারণ নিয়মানুযায়ী আপনার হাত শরীর বদনা টেপ ইত্যাদি সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দোখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে আমরা বলবো,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।

ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
উল্লেখিত সেই ফতোয়ার বিধান প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও আসবে। 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  সব কিছুই নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।  
তবে ফুকাহায়ে কেরামগন ভবিষ্যতে আর এহেন না করার শর্তে প্রয়োজনের ভিত্তিতে অপবিত্র না হওয়ার ফতোয়া প্রদান করেছেন।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিশেষ প্রয়োজন বশত আপনার উক্ত কাপড় গুলো অপবিত্র না হওয়ার ফতোয়া প্রদান করেছেন। 
যদিও নিয়ম অনুপাতে প্রশ্নে উল্লেখিত  আপনার সমস্ত কাপড় নাপাক হয়ে যাওয়ারই কথা।

সুতরাং এখানে পরামর্শ স্বরুপ বলবো যেঃ 
নামাজের ক্ষেত্রে যেই কাপড় গুলো আপনি ব্যবহার করবেন,সেগুলো পাক করে নিবেন।
যাতে নামাজের শুদ্ধতার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না থাকে।
বাকি বস্তু গুলো তো নামাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেননা,তাই সেগুলো নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করতে হবেনা। 

এটি আপনার প্রতি পরামর্শ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...